লেখক ও প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যার কথিত প্রধান পরিকল্পনাকারী জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমান গ্রেপ্তারের দুইদিন পর পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাতে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুরচরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা ইন্টেলিজেন্স অফিসার (ডিআই-ওয়ান) মো: নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ জুন পুলিশের কয়েকটি টিম একত্রে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ওই জেএমবি সদস্যকে।
‘২৬ জুন রাত একটার দিকে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুরচরে তাদের ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। তবে সেসময় অন্যান্য জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমানকে নিয়ে ফিরে আসার সময় তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা হামলা চালায়। সেসময় জেএমবি আব্দুর রহমান নিহত হয় এবং সিরাজদিখান থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন; এ এস আই দেলোয়ার, হাসান এবং কনস্টেবল মোশারফ।’
তিনি আরও জানান, জঙ্গিরা দুই মাস যাবত খাসমহল বালুর চরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। এ ঘটনায় হ্যান্ড গ্রনেড, আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১১ জুন বিকেলে একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন শাহজাহান বাচ্চু। পরে সিরাজদিখানের পূর্ব কাকালদি গ্রামের একটি ঔষধের দোকানে গিয়ে বসেন। ইফতারির কিছু সময় আগে দুটি মোটরসাইকেলে করে ৪ জন অজ্ঞাতনামা যুবক এসে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর বাচ্চুকে ওই দোকান থেকে টেনে বের করে বুকে গুলি করে হত্যা করে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন ব্লগে নিজের মতাদর্শ প্রচার করতেন শাহজাহান বাচ্চু। এ কারণে তাকে দীর্ঘদিন থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল মৌলবাদী গোষ্ঠি। বিশাখা প্রকাশনী নামে একটি প্রকাশনার মালিক ছিলেন তিনি। এই প্রকাশনী থেকে ৫ শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।
ঘটনার পর বাচ্চুর দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করেন।