ম্যাচের ৪৫তম ওভার চলছিল তখন, বোলার সালেহ আহমেদ শাওন।দ্বিতীয় বলেই শতরান তুলে নেয় লিয়াম স্মিথ।ঐ সময়ে সাউথ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ৬৩ রান, হাতে রয়েছে চার উইকেট, বল বাকি ৩২টি।
শাওনের করা চতুর্থ বলটি ছিল ফ্লাইটেড, অফ স্ট্যাম্পে পিচ করে বের হয়ে যাচ্ছিল, সজোরে এক্সটা কাভারের ওপর দিয়ে ব্যাট ও চালিয়েছিলেন স্মিথ।
কিন্তু সেখানেই ফিল্ডিংয়ে মগ্ন ছিলেন জুনিয়র টাইগার মিরাজ। বাঘের মতোই যেন শিকার পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে…হলোও তাই কিন্তু চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে চরিত্র পাল্টে ফেললেন।
উড়ন্ত বাজপাখি হয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তালুবন্দি করলেন অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ। বোলিং প্রান্তে থাকা শাওনের যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না, স্বপ্ন না বাস্তব তাইতো দৌড়ে ছুটে গিয়ে সতীর্থ মিরাজ অভিনন্দন দেওয়ার আগে কিছু বললেন।
আইসিসি’র ওয়েব সাইটের কল্যাণে মিরাজের ওই ক্যাচটি পৌঁছে গেছে লাখো দর্শকের কাছে। শুধুমাত্র মিরাজের ওই ক্যাচের ভিডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে আইসিসি’র সাইটে।
খেলার মাঠেও জায়ান্ট স্কিনে যতোবার ক্যাচটি দেখানো হচ্ছিলো ততোবার গ্যালারিতে ছিলো উল্লাস। ভাষ্যকাররাও যেন কম যান, তারও বলে উঠছিলেন, অসাধারণ ক্যাচ, গোলকীপারের মতোই দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরলেন মেহেদী মিরাজ।
ক্রিকেট বিশ্বে এক সময়ের সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডস, কে জানে রোডস দেখছিলেন কিনা ম্যাচটি, দেখলে হয়তো তার পুরানো দিনের ডায়েরীর পাতায় মিরাজকে মনে করে স্মৃতি হাতড়াতো।
জন্টি রোডসের দেশ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরাজের এমন অবিস্মরণীয় ক্যাচ অনেকদিন মনে রাখবে ক্রিকেটভক্তরা।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আগেই নিজেকে বিশ্ব দরবারে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারদের কাতারে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
ব্যাটিংয়ে কেরামতি দেখাতে পারেনি ২৩ রানে সাজঘরে ফিরে গিছেন, বোলিংয়ের শুরুটাও করেছিলেন তিনি। নয় দশমিক চার ওভারে আদায় করেছেন দুটি মেডেন, রান দিয়েছেন ৩৭টি আর উইকেট সংখ্যা তিনটি।
বিশ্বকাপের শুরুতেই আলোচনায় মিরাজ, টুর্নামেন্টের বাকি সময়গুলোতে সেই আলোচনায় আরো ঝাঁজ ছড়াবেন এই জুনিয়র টাইগার এটাই ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা।
মিরাজের অবিশ্বাস্য ক্যাচটি দেখতে ক্লিক করুন ভিডিওতে