সুফি সাদক খান জাহান আলীর ষাট গুম্বজ মসজিদ আর মংলা সমুদ্র বন্দর এই দুইয়ে মিলে পরিচিত এই বাঘেরহাট জেলা। জেলার প্রধান সড়কের পাশে সারি সারি চিংড়ি ঘের আর নারিকেল আর পান সুপারির জন্য বিখ্যাত।
এই জেলায় প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে ৭৪টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নড়বড়ে সাংগঠনিক অবস্থা মেনে না নিলেও সব ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে না পারার কথা স্বীকার করে নিয়েছে জেলা বিএনপি। তবে, সরকার দলীয় প্রার্থী আর জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তাদের অভিযোগের পাল্লাটাই ভারি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম গোরা বলেন, নির্বাচন পরিচালনার কাজে যারা নিয়োজিত বা প্রার্থী তাদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং সরকারের উপর নির্ভর করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, পক্ষপাতমূলক হবে।
যাদের নিয়ে বিএনপির এতো অভিযোগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত সেই চেয়ারম্যানরা বলেছেন, ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় না থাকায় গোলটা দেওয়া তাদের সহজ হয়েছে।
কড়াপাড়া ইউনিয়নের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম বলেন, বাগের হাটে আমরা কাউকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ব্যাপারে কাউকে আমরা প্রেসার ক্রিয়েট করি নাই।
তিনি আরো বলেন, জনগণ নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যদি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় তাহলে আমাদের উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত থাকবে।
ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষের মাঠে বল জড়াতে না পেরে আক্ষেপও আছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সরকার দলীয় চেয়ারম্যানদের। বিএনপির অভিযোগগুলো তুড়িতে উড়িয়ে দিলেন নৌকার মাঝিরা।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেন, জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান যে নৌকা প্রতীক পেয়েছি; আমার আশা ছিলো আমি এ প্রতীকে নির্বাচন করবো এবং জয়লাভ করবো।
তিনি আরো বলেন, তারা নির্বাচনে না আশার কারণে আমি মানসিকভাবে বিব্রতকর অবস্থা পোষণ করি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বাগেরহাটের ৩৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও ঐসব ইউনিয়নের মেম্বর ও মহিলা মেম্বারের প্রচারণায় সরগরম প্রতিটি পাড়া মহল্লা।