বাগেরহাটের চিতলমারীতে টমেটোসহ শীকতালীন সবজির ফলন ভালো হয়েছে এবার। মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর তিন ধরনের টমেটো চাষ করেছেন কৃষক।
মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। বেশী আবাদ হয়েছে বেগুণ, লাউ ও টমেটো। এর মধ্যে ১৮৬ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টন টমেটো। হেক্টর প্রতি উৎপাদনের হার ৮৬ টন।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, ঘেরের পাড়ে অল্প জায়গায় টমেটো চাষ করে খুব ভালো ফলন হয়েছে। সবজি চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। ফলনও অনেক পেয়েছি। দামও আশানুরুপ পেয়েছি আমরা।
উপজেলা সদরে শনিবার হাটের দিন কৃষক নৌকা ও ভ্যানে করে উৎপাদিত টমেটো নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। সেখানে প্রতি মণ টমেটো বিক্রি হয় চারশ থেকে সাড়ে চারশ টাকায়।
স্থানীয় এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, এখান থেকে লোড করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় টমেটো যাচ্ছে।
চিতলমারী উপজেলায় সবজি সংরক্ষণের একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সবজি ব্যবসায়ী।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আমাদের এখানে রাখার কোন ভালো সুব্যবস্থা নাই। আমরা সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি যেনো এখানে টমেটো রাখার জন্য সুন্দর একটা ব্যবস্থা করে দেয়।
কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, প্রতি বছরেই বাড়ছে সবজি আবাদি এলাকা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ১৮৬ হেক্টর জমিতে টমেটো উৎপাদন হয়েছে। এবার টনপ্রতি ফলন ছিলো ৮০ থেকে ৯০। ২০ হাজার টনের মতো আমাদের এখানে টমেটো উৎপাদন হয়েছে। টমেটো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।