চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবে : কৃষিমন্ত্রী

কোভিড-১৯ ঝুঁকির মধ্যেও বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি ‘অষ্টম পঞ্চর্বাষকিী পরকিল্পনা (২০২১-২০২৫): কৃষি, বন, পানসিম্পদ, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে ফ্রন্ট লাইন রিসার্চ আরও উন্নত হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৃষিতে বাণিজ্যিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ, বহুমুখীকরণ ও রপ্তানি উন্নয়নে জোর দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও বিচক্ষণ নের্তৃত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি আজ শুধু কৃষিতেই ব্যবহৃত হচ্ছে না। এটি শিক্ষা, বাণিজ্য, বিচার বিভাগসহ সব ক্ষেত্রে ভালভাবে ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইন্টারনেট অব থিংস এবং সেশন বেইজড ডিভাইস ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতা আরও বাড়ানো সম্ভব। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে উন্নত গবেষণা হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) প্রফেসর ড. শামসুল আলম।

প্রবন্ধে তিনি কৃষি খাতের মূল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে সম্ভাব্য সমাধানের রূপরেখা তুলে ধরেন। এছাড়া আগামীর চাহিদা মোকাবিলায় নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা বিধানের উপর আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর র্কাযালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

এ সময় তিনি আগামীর আধুনিক কৃষিতে স্মার্ট এগ্রিকালচার, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস এর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সভায় সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শুভঙ্কর সাহা, দেশে-বিদেশে অবস্থানরত প্রথিতযশা কৃষি অর্থনীতিবিদগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তর- অধিদপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।