রাজধানির ধানমণ্ডিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের ধর্মঘট ছয় ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রোগীদের জিম্মি করে ধর্মঘট ডাকা কেনো বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ধর্মঘট স্থগিত চেয়ে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন: একজন চিকিৎসককে ধানমণ্ডির এই হাসপাতাল থেকে উত্তরায় বদলি করার প্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা গত ১৪ মার্চ থেকে এই ধর্মঘট আহ্বান করেন। আদালত চিকিৎসক বদলির বিষয়ে তদন্তের জন্য সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে একটি তদন্ত কমিটি করতে বলেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন: বাংলাদেশ মেডিকেল এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক রোগী আসে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে সেসব রোগীরা কোন চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি জরুরি বিভাগেও কোন চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া প্রিন্সিপালের নেতৃত্বে এই ধর্মঘট চলছে। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। যা আইন ও নৈতিকতা বিরোধী।
এসব কারণে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চৌধুরী সোমবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। সে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।