১৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। শ্রমিক নেয়া স্থগিত ঘোষণা করাকে অভ্যন্তরীণ চাপে ‘লোকদেখানো’ সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শামছুন নাহার। স্থগিতের বিষয়টি বাংলাদেশকে জানানো হয়নি। তাই মালয়েশিয়া চুক্তি অনুযায়ী খুব শীঘ্রই শ্রমিক নেবে বলে মনে করেন তিনি।
জবাবে মালয়েশিয়ার সহকারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক নুর জাজলান মুহাম্মদ বলেছেন, মালয়েশিয়া ‘লোকদেখানো’ কিছু করেনি এবং শীঘ্রই শ্রমিক নেয়া হবে এমন মনে করাটা সঠিক নয়।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মালয়েশিয়া সব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে জানাতে বাধ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম।
মালয়েশিয়া ইনসাইডার অনলাইনে শামছুন নাহার এবং জাজলান মুহাম্মদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শামছুন নাহার বলেছেন,‘ অভ্যন্তরীণ চাপ সামলাতে সমঝোতার পরও শ্রমিক নেয়া স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। এ বিষয়ে ঢাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি ’।
সমঝোতা অনুযায়ী মালয়েশিয়া শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে বলে মনে করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।
তবে মালয়েশিয়ার সহকারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক নুর জাজলান মুহাম্মদ বলেন,‘ ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার প্রস্তাবটা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসেছে। প্রস্তাব বিবেচনার বিষয়টি সম্পূর্ণ আমাদের ব্যাপার। মালয়েশিয়াতে অবৈধ শ্রমিক জটিলতার জন্য আপাতত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেয়া স্থগিত করা হয়েছে। শ্রমিক না নেয়ার সিদ্ধান্ত সাময়িক। হয়তো আরও তিন-ছয় মাস এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে করা সমঝোতাটি কিন্তু বাতিল হয়ে যাচ্ছে না। কারণ এই সমঝোতার মেয়াদ তিন বছর’।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ১৫ লাখ বাংলাদেশীর মালয়েশিয়া যাওয়ার সমঝোতার খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি দু’দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। ঠিক তার পরদিনই বিদেশী শ্রমিক নেয়া স্থগিত ঘোষণা করে মালয়েশিয়া।