চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য আমদানিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ

বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য, কারুপণ্য ও চামড়াজাত পণ্য সৌদি আরবে আমদানি করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

রাষ্ট্রদূত আজ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম আল খালদি ও মহাসচিব আবদুল রহমান আল ওয়াবেল এর সাথে বৈঠককালে এ আহবান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেকোনো ধরণের প্রয়োজনীয় পোশাক আমদানি করতে পারে।

এছাড়া বাংলাদেশের হস্তশিল্প ও চামড়াজাত পণ্য অত্যন্ত উন্নত ও আধুনিক মানের, এসকল পণ্যও সৌদি আরবে আমদানি করার অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের ঔষধ পৃথিবীর প্রায় ৭০টির ও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে ঔষধ আমাদানির আহবান জানান।

এছাড়াও দুদেশের মধ্যে সিরামিক, কৃষি, মৎস্যসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বৃদ্ধির আহবান জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বাংলাদেশের আইটি খাতের সাফল্যের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আইটি সেবা গ্রহণের অনুরোধ জানান। চেম্বারের মহাসচিব সৌদি আরবের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে সহায়তার আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নানারকম সুবিধার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান। বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে তিনি চেম্বারের মহাসচিবকে জানান।

চেম্বারের চেয়ারম্যানকে রাষ্ট্রদূত জানান, সম্প্রতি সৌদি আরবে বিদেশীদের জন্য ব্যবসা নিবন্ধনের যে আইন করেছে তা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য এক অনন্য সুযোগ। এ আইন বাংলাদেশি অভিবাসী ব্যবসায়ীদের জন্য বৈধভাবে নিজ নামে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে, যা তাদের জন্য ব্যবসায়ের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। চেম্বারের চেয়ারম্যান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে দূতাবাসের সাথে নতুন আইন বিষয়ে আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া বাংলাদেশি অভিবাসীদের নতুন ব্যবসা নিবন্ধন আইন বিষয়ে জানার জন্য সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে দুদেশের মধ্যে আগামী দিনে বিভিন্ন খাতে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানান।