বাংলাদেশে হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের ক্ষমতাসম্পন্ন পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনা করছে ভারত। নেপালে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্যও দেশটি গত সপ্তাহে একই ধরণের একটি প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে ৮ এপ্রিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেদিনই প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দু’দেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া (ক্রস-বর্ডার) এই পাইপলাইন পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের পার্বতীপুর পর্যন্ত আসবে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এইচএসডি আসামের নুমালিগড় তেল শোধনাগার থেকে রেলপথে বাংলাদেশে আসবে। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি পাবার পরই এই চালানের কাজ শুরু হবে।
তবে নুমালিগড় তেল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে চালান পাঠানো শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। সম্প্রতি সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রথম দফা এইচএসডি পাঠানো হয়েছে। রেলপথে ২ হাজার ২৮১ মেট্রিক টন জ্বালানি শিলিগুড়িতে অবস্থিত শোধনাগারের মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-এর পার্বতীপুর ডিপো’র উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
বর্তমান রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় এমন প্রতিটি চালান ভারতে ২৫৩ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ২৬৩ কিলোমিটার মিলে মোট ৫১৬ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব অতিক্রম করবে।
বিপিসি এবং নুমালিগড় তেল শোধনাগার একটি ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি সই করেছে। চুক্তিটি অনুসারে, দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন বসানো হবে। ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি দ্রব্য পরিবহন করা যাবে।
ইকোনমিক টাইমস জানায়, ডিজেল ছাড়াও একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের কথাও বিবেচনা করছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন এবং বিপিসি’র মাঝে ৬ হাজার ৯শ’ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। প্রাথমিক আলোচনা অনুসারে, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মিয়ানমারের সিতওয়েকে যুক্ত করবে গ্যাস পাইপলাইনটি।