চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগ সিগারেটে

আকিজ গ্রুপের টোব্যাকো ব্যবসা কিনে নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম বিদেশী বিনিয়োগ করলো জাপান টোব্যাকো ইনকর্পোরেটেড (জেটি)। সোমবার দেড় বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১২শ ৪০ কোটি টাকায় এই দুই কোম্পানির মধ্যে চুক্তি সাক্ষর হয়।

বিজনেস ম্যাগজিন ফোর্বস জানায়, উন্নত দেশগুলোর মানুষ যখন ধূমপান ছেড়ে দিচ্ছে, সেখানে জাপানের কোম্পানির এই অধিগ্রহণ একটি আক্রমণাত্মক ধাক্কা।

তবে জেটি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুতছো ইওয়াই বলেন, এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক গতিশীলতা বৃদ্ধি করলাম, যা জেটি গ্রুপের একটি অন্যতম উপাদান।

চুক্তির বিষয়ে জেটি এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম সিগারেটের বাজার। আকিজ বাংলাদেশে এই খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টোব্যাকো কোম্পানি। দেশের টোব্যাকো খাতের ২০ শতাংশ শেয়ারও আকিজের।

আকিজের সিগারেট ব্যবসা অধিগ্রহণের মধ্যদিয়ে মূলত বাংলাদেশে জাপানি এই কোম্পানির ব্যাপক উপস্থিতি ঘটলো। এই চুক্তির আগে জেটি তাদের উইনস্টোন ব্রান্ড দিয়ে শুন্য দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার নিয়েছে। আকিজ চুক্তিভিত্তিক উৎপাদক হিসেবে বাংলাদেশে ফিলিপ মরিসের মালব্রো এবং জেটির উইনস্টোন উৎপাদন করে।

বাংলাদেশে জেটির এত বড় বিনিয়োগ কেন?
আকিজের লাভের তুলনায় জেটির দেড়শ বিলিয়নের অধিগ্রহণ কিছুটা ফাঁপা মনে হতে পারে। কিন্তু বাজার কৌশলের ক্ষেত্রে জাপানের কোম্পানিটি এখানে দীর্ঘমেয়াদি খেলা খেলছে।

আকিজের ব্যবসার বর্তমান অবস্থা ও বিতরণ নেটওয়ার্ক জেটিকে তার পণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। জেটির ধারণা, বাংলাদেশে টোব্যাকো বাজার বছরে ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়া আকিজের সিগারেট ব্রান্ড, যেমন- শেখ এবং নেভি নিম্ন আয়ের ও পল্লী এলাকায় বসবসাকারী মানুষের কাছে জনপ্রিয়। যেহেতু বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে এবং বেশি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, সুতরাং এই ধারা জেটির পক্ষে কাজ করবে।

বাংলাদেশের খুচরা বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্রেতারা এখানে যেকোন সংখ্যক সিগারেট কিনে থাকে। ফলে এই প্রবণতা কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট সংখ্যক রাজস্ব অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে।

সরকারের পক্ষ থেকেও একটি প্রণোদনা আসে। বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ডের মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) একটি বড় উৎস টোব্যাকো। ফলে সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের দিকে সমান্য মনোযোগ দেয়।

স্বাস্থ্যকর্মীরা বলে থাকেন, সিগারেটের দাম বাড়ালে লোকজন তা কিনতে অনুৎসাহী হবে। অবশ্য টোব্যাকো কোম্পানিগুলো এই দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতা হারানোর কিছুটা ভয়ে থাকে।