বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা আড়াই হাজার একর জমি চেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সফররত সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশকে তৃতীয় বিনিয়োগ গন্তব্য স্থান মনে করছে সিঙ্গাপুর। এজন্য তারা মোট আড়াই হাজার একর জমি বরাদ্দ চেয়েছে। তাদেরকে তা দেওয়াও হবে। সেখানে তারা স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবে বলে জানিয়েছে।
এরইমধ্যে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫শ একর জমি বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজার সাথে তাদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের ভাল বন্ধু মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর সে দেশের পিতা লি কুয়ান ইউ’র সঙ্গে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সখ্যতা ছিলো। তখনই দুই দেশের সহযোগিতা শুরু হয়েছিলো। এখন দুই দেশের মধ্যে ৪ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা আছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সিঙ্গাপুর এদেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানী, আইটি, আবাসন ও অবকাঠামোসহ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছে। এসব খাতে প্রাথমিক ভাবে ১শ থেকে ২শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হতে পারে।
সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের প্রধান প্রসূন মুখার্জী বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। চীন ও ভারতের পর বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে চায়।কিন্তু ৫শ একর জমি, একটি দেশের নিজস্ব জোনের জন্য কিছুই না।
তিনি বলেন, জমি পেলে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এ কাজ হতে ১২ বছর লাগতে পারে। কারণ কেবল জমির উন্নয়ন করতেই ৩ বছর সময় লেগে যাবে। এ সময় সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।