চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা প্রসারে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত

নাগরিকদের চাহিদা পূরণের জন্য একটি ব্যাপক, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক জাতীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইন্টারনেট পরিসরকে নাগরিকদের জন্য ভয়ভীতিহীন মতপ্রকাশের একটি উন্মুক্ত ফোরাম হতে হবে বলে মন্তব্য করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতা প্রসারে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপের ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান হুমকি মোকাবিলা ও ইন্টারনেট স্বাধীনতা প্রসারের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ, সংশ্লিষ্ট অংশীজন এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই গ্রুপ সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতি ও আইনের সংস্কারের জন্য সুপারিশ প্রদানের মাধ্যমে কাজ করবে। এজন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ বিদ্যমান জাতীয় আইনি কাঠামোর বিশ্লেষণ, কৌশলগত এডভোকেসি এবং ক্যাম্পেইনও পরিচালনা করবে।

নবগঠিত এই ওয়ার্কিং গ্রুপটির গঠন প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, প্রযুক্তিবিদ, সাইবার বিশেষজ্ঞ, ডিজিটাল অধিকারকর্মী, শিক্ষার্থী, জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট এবং যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধি যুক্ত ছিলেন বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ইন্টারনেট স্বাধীনতা উদ্যোগ ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যবৃন্দ হলেন আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল, পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. সৈয়দা আইরিন জামান, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম এর সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল হক, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এর নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার নাজমুস সালেহীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সৈয়দ এজাজ কবির, স্কুল অফ ল, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার মোঃ সাইমুম রেজা তালুকদার, বাংলাদেশ টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক এর সভাপতি রাশেদ মেহেদী, টেকসলিউশন সম্পাদক ও প্রকাশক, মাসিক টেকওয়ার্ল্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন নাহার,  ডিজিটাল অধিকারকর্মী তৌফিক আহমেদ শাহিন, জেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট হো চি মিন ইসলাম, ইয়ুথ ফর চেঞ্জ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা  জহির রায়হান ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘দ্য ব্রেভ গার্লসের’ এডমিন ও শিক্ষার্থী রেনেকা আহমেদ অন্তু।

নবগঠিত এই ওয়ার্কিং গ্রুপের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, গত এক দশকে বাংলাদেশ ডিজিটাল পরিসরে ইন্টারনেটভিত্তিক নাগরিক পরিষেবার বিস্তারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা বহুমানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। অথচ বিপরীতে একই সময়ে সংবিধান স্বীকৃত নাগরিক অধিকার, যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্য জানার অধিকার এবং ডিজিটাল পরিসরে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দেশ ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ওয়ার্কিং গ্রুপটির অন্যতম সদস্য ফারুখ ফয়সল বলেন, নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রসার এবং তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে গ্রুপটি। গ্রুপটি ইন্টারনেট স্বাধীনতার প্রসারে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সাথে একাত্ম হয়ে প্রাসঙ্গিক নীতি প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করবে।

এছাড়া ডিজিটাল অধিকার বাস্তবায়নে সহায়ক আইনি ও নীতি কাঠামোর প্রতি সমর্থন এবং অনলাইন স্বাধীনতার প্রতি হুমকির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ রূপান্তর করার বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা স্মরণ করিয়ে দিতে চায় নবগঠিত এই ওয়ার্কিং গ্রুপ।