বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সুসর্ম্পককে আরো নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ভারত।
বাংলাদেশে নব নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্শ বর্ধন শ্রিঙ্গলা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পককে ভারত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমরা এ সর্ম্পককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সেই সাথে হাই কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
আঞ্চলিক দারিদ্র থেকে মুক্তি পেতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ১৯৬৫ সালের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল রুটগুলোর চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের ভারত, নেপাল ও ভুটানের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন হাই কমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতার করার আশ্বস্ত করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দেয়া একটি বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে হাইকমিশনার বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে ভারত সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
গত সাত বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি ৬.৫৫ শতাংশ অর্জনের প্রশংসা করে হর্শ বর্ধন বলেন, বাংলাদেশের এ অর্জন সত্যিই অসাধারণ।
২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনও সম্ভব হবে।
সার্ক স্যাটেলাইট চালুর বিষয়টি তুলে ধরে হর্শ বর্ধন বলেন, বাংলাদেশ এতে যোগদান করতে পারে। জ্বালানী খাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলো বিনিয়োগের আগ্রহী বলে জানান হাই কমিশনার।
দুই দেশের জনগণের মধ্যে যাতায়াত বাড়াতে সীমান্তে আরো চেকপোস্ট বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী হিন্দীসহ ভারতের অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন হাইকমিশনার।
সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ।