স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন কর্মের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বর্তমান মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজকে যে বাংলাদেশের মানুষের অর্জন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) কি তা বেহেশত থেকে দেখতে পারেন? তিনি কি জানতে পারেন?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন। আজ আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নত করতে পেরেছি।’
বঙ্গবন্ধু তার দেশের মানুষের এই উন্নয়ন দেখতে পেলে কেমন অনুভব করতেন তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে আমার ছোট বোন রেহানার সাথে কথা বলছিলাম। বলছিলাম, আব্বা চেয়েছিলেন, তার বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে। বাংলাদেশের মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। আজকে তো সেই সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। আমরা তো একটা ধাপ এগিয়ে গেছি।’
‘আজকে যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো দশ বছরের মধ্যেই আমরা এই অর্জনটা করতে পারতাম। কিন্তু তা হয়নি। আমাদের বহু বছর লেগে গেল। অনেক সময় লেগে গেল। ৪৭ বছর হলো আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। প্রায় ৩৭ বছর পর আমরা এই অর্জন করতে পারলাম।’
‘নিশ্চয়ই আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে। যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা, তারাও নিশ্চয়ই শান্তি পাবেন। এই অগ্রযাত্রাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এই যাত্রাপথ যেন থেমে না যায়, এই অর্জন যেন হারিয়ে না যায় সেই কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, সরকারের যতটুকু অর্জন, তা এই বাংলার জনগণের জন্য। ‘জনগণের কাছ থেকে যদি সাড়া না পেতাম তাহলে তো এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারতাম না।’
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি মানে নিজের উন্নয়ন নয়, জনগণের উন্নয়ন করা। আর তার সরকার এই উন্নয়নের রাজনীতিই করে।
প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে উত্তরণ উৎসব কর্মসূচির সূচনা ঘোষণা করেন।