ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড থেকে: নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ক্রিস হ্যারিস মনে করেন, পাঁচ বছর পর বিদেশের কন্ডিশনেও দারুণ এক দল হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। তবে শর্ত হলো- এই সময়ে নিয়মিত খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে। তার মতে, দ্বিতীয় টেস্টে আরও ভালো করার যথেষ্ট সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে।
এক সময়ের বাঁ হাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান আর ডান হাতি মিডিয়াম পেসার ৪৭ বছর বয়সী ক্রিস হ্যারিস এখন ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার। চলতি নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজে কাজ করছেন স্কাই স্পোর্টসের কমেন্টেটর হিসেবে।
কাছ থেকে দেখা টিম বাংলাদেশের তরুণদের উপরই বেশি আস্থা তার। তিনি বলেছেন, আগামী বছরগুলোতে অনেক পাল্টাতে পারে টাইগার টিমের পথচলা।
ক্রিস হ্যারিস বলেন: কোন সময়ে কোন ধরণের খেলতে হবে সে বিষয়টাতে বাংলাদেশ দলের ঘাটতি আছে। টপ টেন দেশগুলোর সঙ্গে খেললে আমার মনে হয় ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। আগামী ৪/৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দেশের বাইরেও অনেক ভালো করবে। আর দলে কয়েকজন খেলোয়াড় আছে, যারা যে কোন সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ ক্রিস হ্যারিসের শহর। সেখানেই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। হ্যারি মনে করেন, শেষ ম্যাচে আরও বেশি গোছানো পারফরম্যান্স করবে টিম টাইগার্স।
ক্রিস হ্যারিস বলেন: ভারত-বাংলাদেশের উইকেট আর আবহাওয়া অনেকটা একরকম হওয়ায় খুব ভিন্ন কিছু শেখার সুযোগ কম পায় তারা। এই সিরিজ থেকে বাংলাদেশ দল অনেক কিছু শিখতে পারছে। যথেষ্ট ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞতা সেটা কাজে লাগাতে পারলে পরের টেস্টে আরও ভালো করা সম্ভব।
টাক মাথার এ ক্রিকেটার নব্বই দশকে ছিলেন নিউজিল্যান্ড টিমের অন্যতম এক কার্যকর অলরাউন্ডার। অনেকগুলো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে ক্রিস হ্যারিস দলকে জিতিয়েছেন অনেকবার। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচে বেশি ২৯ বার কট এন্ড বোল্ড ডিসমিসালের রেকর্ডও আছে তার।
২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে হবে বাংলাদেশ- নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।