চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশের কূটনীতিতে এখনকার অগ্রাধিকার

রোহিঙ্গা ইস্যু এখন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাই রোহিঙ্গা বিষয়ে আমাদেরকেও দল-মত নির্বিশেষে এক হতে হবে।

পরিস্থিতির উন্নয়নে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সেজন্য আমাদের কূটনীতিক তৎপড়তা বাড়াতে হবে। ফেসবুকে এই বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট’র কূটনৈতিক প্রতিবেদক হুমায়ুন কবীর ভূইয়া।

তিনি লিখেছেন: জ্ঞানী ব্যক্তিদের বিনীত অনুরোধ করছি রোহিঙ্গা ইস্যুতে দলবাজি এবং আবেগ ছেঁড়ে বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। এটা দেশের জন্য একটা জীবনমরণ সমস্যা। মিয়ানমার দেশটা চলাচ্ছে এখন মিলিটারিরা, সু চি কে সামনে রেখে। এই মহিলা হয় সত্যি সত্যি মেরুদণ্ডহীন, নয়তো ভান করছেন। চীন, রাশিয়া এবং ভারত আমাদেরকে এই ইস্যুতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি না। তাঁরা হয়তো লিপ সার্ভিস দিবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করবে না। কিন্তু, আমাদেরকে সর্বান্তকরণে চেষ্টা করতে হবে এই তিনটা দেশ যেন উপকার না করলেও অপকার না করে, অর্থাৎ নিউট্রালাইজড অবস্থায় থাকে।

তিনি আরও লিখেছেন: যত অপছন্দই করি না কেন, আমাদের দরকার এখন আমেরিকান দেশগুলো যেমন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা, ইউরোপীয় দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়া এবং সম্ভব হলে প্রভাবশালী আরব রাষ্ট্রগুলো। পূর্ণ অবরোধ এখন কেওই আরোপ করবে বলে আমি মনে করি না। এই সময় হয়তো আসেনি এখনও ওদের মতে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলো যদি মিয়ানমারের টপ জেনারেলদের উপর কিছু অবরোধ যেমন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। তাই, আমি মনে করি বাংলাদেশের কূটনীতিক মনোনিবেশ এখন এই দিকেই হওয়া উচিৎ।