থামানোই গেল না টম ল্যাথামকে। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথমদিনটি পুরোপুরি নিজের করে নিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে তিনি।
সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে ডেভন কনওয়ে। দুই বাঁহাতির ব্যাটে সংগ্রহের ভিতটা গড়া হয়ে গেছে কিউইদের। এখন চোখ সফরকারীদের পাহাড় চাপা দেয়ার।
রোববার নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ এক উইকেটে ৩৪৯ রান। খেলা হয়েছে পুরো ৯০ ওভার। ল্যাথাম ১৮৬ ও কনওয়ে ৯৯ রানে অপরাজিত। ফিফটির (৫৪) পর সাজঘরে ফেরেন উইল ইয়াং।
হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশের জন্য দিনটি গাড় হতাশার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের পর পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেন কিনা মুমিনুল হকরা, সেটি ছিল দেখার। সফরকারীদের বোলিং প্রথমদিনে অন্তত আক্ষেপে পুড়িয়েছে।
সবুজ ঘাসের আস্তর উইকেটে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়েছেন ল্যাথাম-কনওয়ে। কোনোভাবেই থামানো যায়নি তাদের। দ্বিতীয় দিন স্কোরটা কোথায় নিয়ে দাঁড় করান সেটিই দেখার। দ্বিতীয় উইকেটে তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেছেন ২০১ রান।
প্রথম উইকেট জুটি থেকে এসেছে ১৪৮ রান। দিনের দ্বিতীয় সেশনে ইয়াংকে অভিষিক্ত নাঈম শেখের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন ইবাদত হোসেন। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেয়া পেসার ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ২১ ওভারে দিয়েছেন ১১৪ রান। ওভার প্রতি ৫.৪২ হারে।
ইবাদতের উপর বেশি চড়াও হয়েছে কিউইরা। ওভার প্রতি তিন রানের কম দিয়েছেন কেবল শরিফুল। ১৮ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫০ রান। নিয়েছেন দিনের একমাত্র উইকেটটি।