বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করেছে রাশিয়া থেকে কেনা সর্বাধুনিক কমব্যাট ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ইয়াকোলেভ ইয়াক-১৩০’র সংযোজন। ষোলটি নতুন প্রশিক্ষণ-কাম-যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রথম ছয়টির চালান এরইমধ্যে বুঝে পেয়েছে বিমান বাহিনী।
ইয়াকগুলো এখন চট্টগ্রামে, সেখান থেকেই স্টেট অব দ্যা আর্ট ইয়াকগুলো পরিচালনা করা হবে,’ বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। ‘এখন ইয়াকগুলোর রিফিটিং (পুনঃসংযোজন) এর কাজ চলছে। শিগগিরই আকাশে বিমানগুলোকে উড়তে দেখা যাবে।’
ওই সূত্রটি জানায়, ইয়াকগুলো বিমান বাহিনীর কিংবদন্তী ‘অ্যাভেঞ্জার্স’ ইউনিট স্কোয়াড্রন-২১ এ যোগ করা হয়েছে।
ইয়াকগুলো চট্টগ্রামে থাকলেও ‘পুনঃসংযোজন’ এর পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য ঢাকায় আনা হবে।
বিমান বাহিনীর চৌকষ অফিসাররা এরইমধ্যে রাশিয়া থেকে ইয়াক-১৩০ পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
বিশাল উড়োজাহাজ ইলিউশিন-৭৬ এ করে ছয়টি ইয়াক রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। আরো ১০টি ইয়াক আগামী বছর নাগাদ বুঝে পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
ইয়াক-১৩০ একইসঙ্গে প্রশিক্ষণ এবং শত্রুর স্থাপনায় আক্রমণের কাজে ব্যবহার করা যায়। বিমান সেনাদের এই জঙ্গি বিমানটি পঞ্চম প্রজন্মের প্রশিক্ষণের সুবিধা দেবে।
ইয়াক অত্যন্ত নিরাপদ হিসেবেও বিবেচিত। হাজার হাজার উড্ডয়নে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেছে মাত্র তিনটি। তিন ক্ষেত্রেই দুইজন করে ছয়জন পাইলট এয়ারক্রাফট থেকে বের হয়ে আসতে পারেন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
ককপিটে দুইজন পাইলটকে বহন করা দ্বৈত ইঞ্জিনের ইয়াক-১৩০ অন-বোর্ড স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ আকাশে অন্য এয়ারক্রাফটে এবং আকাশ থেকে মাটিতে মিসাইল এবং বোমা হামলায় সক্ষম।
(ফটো: সশস্ত্র বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর আনঅফিশিয়াল ফেসবুক পেজ)