টানা তিন জয়ে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামাল অস্ট্রেলিয়া। মিরপুরে সিরিজের চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে স্বাগতিকদের তারা হারিয়েছে ৩ উইকেটে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টি সোমবার।
শনিবার ১০৪ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও লড়াই করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেট হারিয়ে খেলা শেষ করে ৬ বল হাতে রেখে।
সাকিব আল হাসানের এক ওভারেই হয়েছে সর্বনাশ। বাঁহাতি স্পিনার এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা হজম করেন। তারপরও বাকিদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ।
সাকিব পুরো ম্যাচেই খরুচে থাকাতে ব্যবধান গড়ে যায় ম্যাচে। ৪ ওভারে তিনি দেন ৫০ রান। যা মোট রানের প্রায় অর্ধেক। এদিন ব্যাটেও ডুবিয়েছেন সাকিব, ২৬ বলে করে দেন ১৫ রান।
স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই উইকেট এনে দেন মেহেদী হাসান। প্রথম ওভারে টাইগার অফস্পিনার অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করেন।
তিন ওভারে সফরকারীরা তোলে ১৫ রান। পরের ওভারে সাকিব দেন ৩০ রান। ওই ওভারের চতুর্থ বলটি ছাড়া পাঁচটি ডেলিভারিই সীমানা ছাড়া করেন ক্রিস্টিয়ান। ১৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা ডানহাতিকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
ফের দারুণ বোলিং করেছেন বাঁহাতি পেসার। আগের ম্যাচের মতোই ফিজ ৪ ওভারে দেন মাত্র ৯ রান। তুলে নেন ২টি উইকেট।
বাংলাদেশের দেয়া ১০৫ রানের লক্ষ্য অজিরা টপকায় ১৯ ওভারে। সাকিবের খরুচে ওভারের পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকেন মেহেদী-মোস্তাফিজ-নাসুমরা।
৬৫ রানে ৬ উইকেট তুলে ম্যাচে দারুণভাবে ফেরে বাংলাদেশ। ১৬ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া হারায় ৪ উইকেট। তাতে আশা জাগে জয়ের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাস্টন টার্নার। সপ্তম উইকেটে জুটিতে তারা যোগ করেন ৩৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার দলীয় একশর আগেই অ্যাগারকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। শামীম হোসেন নেন দুর্দান্ত ক্যাচ। আউট হওয়ার আগে অ্যাগার করে যান ২৭ রান। এন্ড্রু টাইকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন টার্নার। ডানহাতি অপরাজিত থেকে যান ৯ রানে।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল মেহেদীর ১৬ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসে একশ পেরোয়। অজিদের বিপক্ষে মুখোমুখি ৮ দেখায় এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ২০১০ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে পরে ব্যাট করে ১১৪ রান ছিল আগের সর্বনিম্ন।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে আরেকটি লো-স্কোরিং ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নাঈম শেখ। বাঁহাতি ওপেনারের ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার। তিনি ব্যাক-টু-ব্যাক বাউন্ডারি মারেন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। তারপর আর বল পাঠাতে পারেননি সীমানার বাইরে।
আফিফ হোসেন ২০ ও সাকিব আল হাসান করেন ১৫ রান। ধীরগতিতে ব্যাট করা বাংলাদেশ তিন অঙ্ক ছুঁতে পারবে কিনা সেটি নিয়েই জেগেছিল শঙ্কা। শেষে একটি করে চার-ছয়ে মেহেদীর লড়াকু ব্যাটিংয়ে পেরোয় শতরানের ল্যান্ডমার্ক। চলতি সিরিজে আগে ব্যাট করা দলের এটিই সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসন ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। ৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। জস হ্যাজেলউড ও অ্যাস্টন অ্যাগার নেন একটি করে উইকেট।