প্রায় ছয় মাস পর দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ খেলতে নামা বাংলাদেশকে মহাচাপে রেখেছে টেস্ট পরিবারের নবীন সদস্য আফগানিস্তান। চট্টগ্রামে সিরিজের একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হাতে রেখে সফরকারীদের লিড ৩৭৪। এরবেশি রান তাড়া করে ক্রিকেট বিশ্বে জয়ের ঘটনাই আছে মোটে সাতটি।
টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছরের পথচলায় চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৯ রান তাড়া করে জিতেছিল, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। পরিসংখ্যানই বলছে বাংলাদেশকে ‘অসম্ভব’ এক পথ পাড়ি দেয়ার চ্যালেঞ্জে ফেলতে যাচ্ছে রশিদ খানের দল।
আফগানিস্তান-৩৪২ ও ২৩৭/৮, বাংলাদেশ-২০৫ (তৃতীয় দিনের খেলা শেষে)
দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই খেলা বন্ধ হয়। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আফসার জাজাই ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন।
ইব্রাহিম জারদান ৮৭ ও আসগর আফগান করে যান ৫০ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা ১০৮ রান যোগ করে পাহাড়সম লক্ষ্যের পথ দেখান।
২৮ রানে তিন উইকেট তুলে আফগানদের দ্রুত অলআউটের যে আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান মিলে, সেটা উবে যায় ইব্রাহিম ও আসগরের প্রতিরোধেই।
সাকিব তিনটি, নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ৩৪২ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ২০৫ রানে।
দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ১৯৪। শনিবার তৃতীয় দিন সকালে আর ১১ রান যোগ হতেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানকে এলবিডব্লিউ করে পঞ্চম শিকারের দেখা পান আফগান অধিনায়ক রশিদ। তিন ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই লেগি দ্বিতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন।