চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী রাখবে যে জায়গাগুলো

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে প্রতিটি ম্যাচই কার্যত ‘ফাইনাল’ টিম টাইগার্সের জন্য। কয়েকঘণ্টা পরই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ টাইগারদের। মাঠে নামার আগে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। তবে পরিকল্পনা আঁটতে হচ্ছে কঠিন চ্যালেঞ্জ পার হওয়ার।

আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বড় রান তাড়া করে হেসেখেলেই জিতেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ ম্যাচের আগে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে সেরা ছন্দে।

বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের ৫ ম্যাচ থেকে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে সমান ম্যাচে দুটি করে জয়-পরাজয় ও একটি পরিত্যক্ত ফলে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে অবস্থান বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে যেতে অজিদের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই লাল-সবুজদের।

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর গ্রুপপর্যায়ে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। অজিদের হারিয়ে তাতে সেমির পথ সহজ করতে মরিয়া মাশরাফীর দল।

বিশ্বকাপে আগে তিনবারের দেখায় অস্ট্রেলিয়া দুবার বাংলাদেশকে হারিয়েছে এবং একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ২১ বারের সাক্ষাতে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটিতে। বিশ্বকাপের ইতিহাস ও মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান কথা বলছে অজিদের হয়েই। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর বাংলাদেশকেও এগিয়ে রাখছে!

টপঅর্ডার রানে: বিশ্বকাপের আগে থেকেই বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা রানের মধ্যে আছেন। বিশ্বকাপেও সেই ছন্দ ধরে রেখেছেন তারা। তামিম ইকবাল সেভাবে রান পাননি, তবে একেবারে অফফর্মে নন। সৌম্য সরকার দারুণ শুরু এনে দিচ্ছেন। সাকিব আল হাসান তো উড়ছেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যাশা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কাছে। অজিদের বিপক্ষে সৌম্যর কাছে বড় ইনিংস পাওনা বাংলাদেশের। এদিকে গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই ৯৪ রানের বিধ্বংসী অপরাজিত ইনিংস খেলা লিটন দাসও ভরসা যোগাচ্ছেন। অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের টপঅর্ডাররা যদি ফর্মটা ধরে রাখতে পারেন, তবে মিডলঅর্ডার ও লোয়ার মিডলঅর্ডারের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। যা প্রভাব ফেলবে ম্যাচের ফলাফলে।

স্পিন-আক্রমণ: নটিংহ্যামের পিচে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ দলে সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজের মতো বিশেষজ্ঞ স্পিনার রয়েছে। টাইগারদের স্পিন মোকাবেলায় বাড়তি প্রস্তুতি নিতে নেটে স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারকে নিয়ে অনুশীলন করেছে টিম অস্ট্রেলিয়া। বোঝাই যাচ্ছে বাংলাদেশের স্পিনকে হুমকিই ভাবছে অজিরা! সাকিব এমনিতেই রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তার সঙ্গে মিরাজও যদি নিজের স্পিন-ভেলকি দেখাতে পারেন, পেসারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। যা ঠিক করে দিতে পারে ম্যাচের গতিপথই।

শর্ট বল-জুজুর অবসান: শর্ট বলে বাংলাদেশের দুর্বলতার কথা কারো অজানা নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা আগের ম্যাচে শর্ট বলেই বাংলাদেশকে ঘায়েল করতে চেয়েছিল। কিন্তু সৌম্য, সাকিব ও লিটনরা যেভাবে লাফিয়ে ওঠা বলগুলোকে সীমানাছাড়া করেছেন, তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর হয়েই নামবে টিম টাইগার্স। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও কোল্টার নাইলরা শর্ট বলেই বাংলাদেশকে ঘায়েল করতে চাইবেন। অজিদের মোকাবেলার আগে উইন্ডিজ ম্যাচে বাংলাদেশও আদর্শ প্রস্তুতি সেরে রেখেছে সেটির।