চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাঁহাতি স্পিনার ছাড়াই খেলে যাবে বাংলাদেশ?

কোচ-অধিনায়কের কাছ থেকে এখনও কোনো বার্তা পাননি নির্বাচকরা। যে কারণে ঝুলে আছে সাকিব আল হাসানের বদলি হিসেবে তাইজুল ইসলামের নিউজিল্যান্ডের বিমানে চড়ে ওয়ানডে দলে যোগ দেয়া। শেষপর্যন্ত নতুন কাউকে না পাঠানো হলে বাঁহাতি স্পিনার ছাড়াই কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে হবে বাংলাদেশকে!

বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া বুধবার নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামার অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের দুটি উইকেটই পড়েছে স্পিনে। ৮ উইকেটে হারের ম্যাচে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাঁহাতি স্পিনে সফল হয়েছেন প্রতিপক্ষের মিচেল স্যান্টেনার। বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এ কিউই। অথচ বাংলাদেশ দলে নেই কোনো বাঁহাতি স্পিনার!

আঙুলের চোটের কারণে সাকিব ছিটকে যাওয়ায় স্কোয়াড হয়ে পড়েছে বাঁহাতি স্পিনশূন্য। বাংলাদেশ দলের জন্য বাঁহাতি স্পিন যেমন শক্তি নাম, প্রতিপক্ষের জন্য তেমনি ভয়ের। সাকিবের চোটে বোলিং আক্রমণই হয়ে পড়েছে দুর্বল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামী শনিবার, ক্রাইস্টচার্চে। বুধবার প্রথম ওয়ানডের দিন পর্যন্ত নির্বাচকদের কাছে সাকিবের বিকল্প চাননি অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও হেড কোচ স্টিভ রোডসের কেউ।

নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন জানালেন, বাংলাদেশ দলের থিংক ট্যাঙ্কের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন পেলেই কেবল কোনো স্পিনার পাঠানো হবে নিউজিল্যান্ডে। সেই একজন হতে পারেন তাইজুল! বাঁহাতি তাইজুলের জোর সম্ভাবনার কথা জানালেও নিশ্চিত করেননি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

লাল বলের প্রস্তুতির জন্য টেস্ট দলের দুই সদস্য মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম আগে ভাগেই গেছেন তাসমান সাগড়পাড়ে। তাদের কাউকে দিয়ে হয়ত ব্যাটিংয়ে সাকিবের অভাব পূরণ করা যেতে পারে, কিন্তু বোলিংয়ে?

প্রথম ওয়ানডেতে তিন পেসার ও দুই অফস্পিনার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। পেসারদের বাজে দিনে পার্ট টাইমার সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানকে হাত ঘোরাতে হয়েছে। সাব্বির ৭ ওভারে দিয়েছেন ৪১ রান, আর সৌম্য এক ওভারে দিয়েছেন ৮ রান।

একজন বাঁহাতি স্পিনারের অভাব মেটাতে ভিন্ন ছকে সাজাতে হয়েছে বোলিং আক্রমণ। মাশরাফী-মোস্তাফিজের সঙ্গে পেস আক্রমণে তৃতীয়জন সাইফউদ্দিন। অধিনায়ক ছাড়া বাকি দুই পেসারই ছিলেন খরুচে। মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন মূল স্পিনার হিসেবে। হয়েছেন কিছুটা সফল।

গত দুই দশকে বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া ম্যাচ খেলার নজির খুব বেশি নেই বাংলাদেশের। ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আব্দুর রাজ্জাককে একাদশের বাইরে রাখায় একবার, আর ২০০২ সালে সাউথ আফ্রিকা সফরে মূল স্পিনার ছাড়াই মাঠে নামে বাংলাদেশ। একাদশে জায়গা পান চার পেসার। অনুপস্থিত ছিল বাঁহাতি স্পিনার।

নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড সাজানো অফস্পিনে ভরসা রেখে। প্রতিপক্ষের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান বাঁহাতি হওয়ায় মিরাজের সঙ্গী করে দলে রাখা হয়েছে নাঈম হাসানকে। যদিও প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছেন কেবল মিরাজই।