প্রতি বছরই বন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে নেত্রকোনার তিনটি হাওরের আবাদ হওয়া একমাত্র ফসল বোরো ধান। ফসল রক্ষায় চন্দ্র সোনারতাল হাওরের শয়তানখালি পয়েন্টে বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছিলো পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে নির্মাণ না করায় প্রতিবছরের মতো এবারও আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় এ অঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল।
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক বলেন, একজন স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আমরা অসহায়। তার গাফিলতির কারনে আমাদের এ অবস্থা। এখন চিন্তা পোলাপানকে কিভাবে খাওয়াবো, ঋণ কিভাবে দিবো।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে না হওয়ার কারণেই এই লোকসান ও বিপর্যয়ের শিকার হতে হচ্ছে।
বাঁধ নির্মানে অনিয়মের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও। সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, চেয়ারম্যান কাজটি করে নাই ঘটনাটি সত্য। ইউএনও সাহেবও প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডও প্রতিবেদন দিয়েছেন। আমি আশাকরি এ ব্যাপারে আইনগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার বলেন, চন্দ্রশোনার তল হাওরের একটা অংশ শয়তানখালি খাল, ওই এলাকা সুনামগঞ্জে জেলায় পড়াতে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক কাজগুলো বাস্তবায়িত হয়ে থাকে।
প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলার কারণে প্রতি বছরই বন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে বোরো ফসল বলে দাবি করে এই অবস্থার পরিবর্তন চান স্থানীয় কৃষকরা।