ম্যাচের সময় তড়িৎ গতিতে বল জোগান দেয়ায় ক্যালাম হাইন্সের প্রশংসা করেছিলেন টটেনহ্যাম হটস্পার কোচ হোসে মরিনহো। দিয়েছিলেন ‘হাই ফাইভ’ও। মরিনহোর সেই হাই ফাইভে নিজের জীবন পাল্টে যাবে বলছে স্পারদের ১৫ বছর বয়সী বল বয়।
গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নিজ মাঠে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৫০ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল টটেনহ্যাম। ৫০ মিনিটের মাথায় মাঠের বাইরে থেকে দ্রুত সার্জি অরিয়েরকে বলের যোগান দেয় হাইন্স। বল পেয়ে দ্রুতই সতীর্থ লুকাস মউরাকে পাস দেন অরিয়ের। মউরার কাট ব্যাকে বল পান হ্যারি কেন। বল পেয়েই গোল করেন কেন। সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৪-২ গোলে জিতে নেয় মরিনহোর দল।
সেই গোলের পরপরই খেলোয়াড়রা যখন উদযাপনে ব্যস্ত, ডাগআউট থেকে নিজে এগিয়ে গিয়ে হাইন্সের সঙ্গে হাত মেলান মরিনহো। করেছেন প্রশংসা। এতবড় একজন কোচের এমন প্রশংসা পেয়ে আনন্দে ভাসছে হাইন্স।
‘এটা ছিল অকল্পনীয়। আমি শুধু আমার দায়িত্বটা পালন করেছি। আমার এখনো বিষয়টা স্বপ্নের মত লাগছে।’ টটেনহ্যাম ওয়েবসাইটে এমনই বলেছে হাইন্স।
‘আমি গোলও দেখার সুযোগ পাইনি। বল দেয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর নিজের জায়গায় আসতে আসতেই দেখি সবাই উল্লাস করছে। ফিরে দেখি কেন উদযাপন করছেন।’
‘এরপর রিপ্লেতে দেখেছি কি হয়েছে। আমার হাসি দেখলেই বোঝা যাবে বিষয়টা কত অবিশ্বাস্য। হোসের এমনটা না করলেও চলতো। উনি আমার কাছে এসেছেন, বিষয়টা দারুণ। আমার দিনটাই সেদিন বদলে গিয়েছে, আমার জীবনও। আমি স্পারদের ভালোবাসি আর কোনদিনও দিনটাকে ভুলতে পারবো না।’
ম্যাচের পর নানা প্রান্ত থেকে হাইন্সের জন্য শুভেচ্ছা আসছে বলে জানিয়েছেন তার মা ক্যালি হাইন্স, ‘আমরা মাঠে ছিলাম। দেখেছি হোসে আমাদের ছেলের সঙ্গে কি করেছেন। আমরা ভেবেছিলাম বিষয়টা হাই ফাইভেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এরপর থেকে আমাদের ফোন বেজেই যাচ্ছে। নানা প্রান্ত থেকে ফোন আসছে।’