ট্রেন্টব্রিজে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের ‘সম্ভাব্য’ বল বিকৃতি নিয়ে তৎপর ছিলেন আম্পায়াররা। দুই দলের খেলোয়াড়রা আউটফিল্ড থেকে একাধিক বাউন্সে বল ফেরত পাঠাচ্ছিলেন বোলারের কাছে। সাধারণত বল রিভার্স সুইং আদায় করার মতো আকৃতিতে আনার কৌশল হিসেবে এমন করা হয়ে থাকে। যে কারণে দুদলকেই ডেকে কথা বলেন দায়িত্বরত আম্পায়াররা।
ম্যাচের দুই ইনিংসেই রিভার্স সুইং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দূর থেকে বল থ্রোর এমন অবস্থায় যাতে নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটে, সেজন্য আম্পায়াররা বেশ কয়েকবার দুদলকেই এক বাউন্সে বল ফেরত পাঠানোর বিষয়টি মনে করিয়ে দেন।
ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষদিকে জস বাটলার ১০৩ রানে আউট হওয়ার পর বলের আকৃতি পরীক্ষা করে দেখেন আম্পায়াররা। তবে সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পাননি। ম্যাচ শেষে ইংলিশ দলনায়ক ইয়ন মরগানকে বলতে হল এনিয়ে। জানিয়েছেন, দুই ইনিংসেই এমনটি ঘটেছে।
‘দুই ইনিংসেই এটি নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। মধ্য-ইনিংসে আম্পায়াররা আমার কাছে এসেছিলেন। তারা মনে করেছেন, অকারণেই অতিরিক্ত বাউন্সে বল পাঠানো হচ্ছে অথবা এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।’
এদিকে পাকিস্তানকে সতর্ক করার পর দেখা যায় আউটফিল্ড থেকে বল পাঠানোর পর মোহাম্মদ হাফিজ আম্পায়ারের কাছে বেশ কয়েকবার বল জমা দেন। জরিমানার ভয়েই হাফিজ এমনটি করেছেন। পাকিস্তানের ইংল্যান্ড-বধের নায়ক বললেনও তেমনই।
‘এটি তাদের (আম্পায়ার) কাজ এবং তারা তাদের কাজ করেছে। দুই ইনিংসেই বেশ কয়েকবার বল এক বাউন্সে আসেনি অথবা দুই কিংবা তিন বাউন্সে এসেছে। ২০ ওভার পর আমাদের সতর্কতা দেয়া হয়েছিল। যদি আমরা দুই বাউন্সে বল পাঠাই তবে আমাদের (রান) জরিমানা করা হবে। এজন্যই আমি বেশ কয়েকবার আম্পায়ারের কাছে বল সঁপে দিয়েছি।’