সিনেমা হল বন্ধ, ছবির মুক্তি পেছানো, শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি খারাপ সময় পার করছে। গত বছরের সাথে তুলনা করে ট্রেড অ্যানালিস্টরা দেখেছেন মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিতে ক্ষতি হয়ে গেছে প্রায় ৪৫০-৫০০ কোটি রুপি।
ফিল্ম ট্রেড ও এক্সিবিশন এক্সপার্ট গিরিশ জোহার বলেছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির জন্য কী অপেক্ষা করছে জানিনা। ২০১৯ সালে এই সময় পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রি আয় করেছিল প্রায় ১১৫০ কোটি। ২০২০ সালে আয় করেছে মাত্র ৬৫০ কোটি।’
ট্রেড ম্যাগাজিন ‘কমপ্লিট সিনেমা’র এডিটর অতুল মোহন মনে করছেন, সিনেমার জন্য ভীষণ খারাপ সময় যাচ্ছে। এমনকি করোনাভাইরাসের কারণে সব বন্ধ হওয়ার আগেও বলিউডের অনেকগুলো ছবি ফ্লপ হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ছপাক, পাঙ্গা, ভুত: পার্ট ওয়ান- দ্য হন্টেড শিপ, স্ট্রিট ড্যান্সার এবং শুভ মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান। এবছর খুব ভালো ব্যবসা করা একমাত্র সিনেমা ‘তানহাজি- দ্য আনসাং ওয়ারিয়র।’
টাইগার শ্রফের ‘বাঘি থ্রি’ও ভালো ব্যবসা করছিল। কিন্তু ৯২ কোটি রুপি আয় করার পর করোনাভাইরাসের কারণে সিনেমা হল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘আংরেজি মিডিয়াম’ মুক্তি পেলেও ব্যবসা করার সুযোগই পায়নি।
বক্স অফিস বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিনেমার এই খারাপ অবস্থা আরও অনেকদিন চলবে। যদিও সম্ভব না, তবুও যদি মার্চের শেষে থিয়েটারগুলো চালু হয় তাহলে স্টুডিওগুলো কমপক্ষে তিন সপ্তাহ প্রচারণার সময় নিয়ে ছবি মুক্তি দিবে। এপ্রিলে স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। নির্মাতারা এই সময়টাতে ছবি মুক্তি দেন লাভের আশায়। কিন্তু এবছরের এপ্রিলে ছবি মুক্তির আশা নেই। তাই লাভজনক এই মাসটাও হারালো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।
ট্রেড এক্সপার্টদের মতে, পরিস্থিতি ঠিক হয়ে আসার পর হল খোলা হলেও মানুষ ভিড় এড়িয়ে চলবে আতংকে। মহামারীর থাবার পর সিনেমা দেখার মতো মনমানসিকতাও থাকবে না। ফলে সিনেমা মুক্তি দিলে ভালো ব্যবসা করার সম্ভাবনা কম। লাইভমিন্ট