২০০৭ সাল। দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘আহা!’ নামের একটি চলচ্চিত্র। দর্শক মহলে বেশ প্রশংসিত হয় ছবিটি। সিনেমা সমালোচকরাও ছবিটির এক তরফা প্রশংসা করেন। নতুন দিনের নতুন সিনেমা বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। এমনকি চার বিভাগে ছবিটি অর্জন করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শুধু তাই নয়, ছবিটি বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রশংসা কুড়ায়। আর এই ছবিটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে বাঙালি দর্শকের সামনে আসেন এনামুল করিম নির্ঝর।
চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেই নয়, তিনি একাধারে আলোকচিত্রী, লেখক, গীতিকার ও সুরকার। তবে পেশায় তিনি মূলত স্থপতি। চলচ্চিত্র নির্মাণের আগেই স্থাপত্যকলার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। আর এবার স্থপতি হিসেবে আলোচনায় এনামুল করিম নির্ঝর। বাংলা একাডেমি আয়োজিত আসন্ন একুশে বই মেলার পুরো নক্সা প্রণয়নের কাজটি করেছেন তিনি। বই মেলার পুরো আয়োজন, ডিজাইন ও ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে খোলাখুলি কথা বলেছেন এই স্থপতি নির্মাতা:
বাংলা একাডেমির আয়োজনে এবারের একুশে বইমেলার স্টল বিন্যাস থেকে শুরু করে সমস্তটাই এবার আপনার ডিজাইনে? এর সাথে অন্তর্ভূক্তি নিয়ে জানতে চাই?
না, পুরোটা নয়। আমি বরং একটা প্রক্রিয়া শুরু করার কাজ করেছি। যেখানে এক ধরনের ক্রিয়েটিভ স্পিরিট থাকবে, দায়বদ্ধতা থাকবে। কারো মধ্যে যদি নান্দনিক, মানবিক স্পৃহাটা না থাকে তাহলে কোনো জিনিষই সাকসেসফুল হয় না। আমি যেটা করেছি সেটা হলো বইমেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের অংশটার লে-আউটকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আনার চেষ্টা করেছি। একই সাথে পুরোটার একটা গ্রাফিক্স স্ট্যান্ডার্ড তৈরী করার চেষ্টা করেছি। মানে আমি একটা প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করেছি, যেনো নিয়মিত অভ্যাসে এটা পরিনত হয়। এক ধরণের বিবেচনাবোধ জাগ্রত হয়।
তারপরও বইমেলার সাথে এবার আপনার সম্পৃক্ততা কীভাবে?
একটু উদাহরণ দিয়ে বলি, দরোজা এক ভাবে খুলতেই কিন্তু মানুষ অভ্যস্ত। তাকে আরেকটা কায়দা শেখাতে হলে একটু একটু করে করতে হয়। বিষয়টা হলো, আচমকা আমি একদিন ফোন পেলাম বাংলা একাডেমি থেকে। তারা জানালো এবারের একুশে বই মেলার পরিচালনা কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে। পরিচালনা কমিটিতে আর্কিটেক্ট অন্তর্ভূক্তি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, এবার এটা দেখে ভালো লাগলো।
বাংলা একাডেমির বইমেলা পরিচালনা কমিটিতে গিয়ে দেখলাম, যাদেরকে প্রতিবছর বইমেলার পুরো ডিজাইনের দায়িত্ব দেয়া হয়, তারা একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। যারা একটা স্পন্সরের সহায়তায় বইমেলার পুরো কাজ করে। এটা ওখানকার সিস্টেম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলা একাডেমি অভিভাবক হিসেবে থাকলেও তাদের নিজস্ব কোনো ফান্ড নেই। তখন আমার ধারণা হলো, এখানে প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে সৌজন্য একটা আগ্রহী গ্রুপ দিয়ে কাজটা করতে হবে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমি নিজে একটা প্রপোজাল দিলাম।
তারা আপনার প্রপোজাল তারা কীভাবে নিলেন, মানে আপনি কীভাবে কনভিন্স করলেন?
বাংলা একাডেমি খুব ভালো ভাবে বিষয়টি নিলো। তারা আগ্রহী হলে প্রচণ্ড উৎসাহ পেলাম। আমাদের স্বাগত জানালো। বিশেষ করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী ও জালাল ভাই খুব অনুপ্রেরণা দিলেন। আমি তাদের বললাম, এই মুহূর্তে আমি যা যা দেখছি সেগুলোরই আমি একটা নতুন চেহেরা দেখাবো। তো আবার এটাও ভেবে দেখলাম, এই মুহূর্তে যদি আমি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে চাপ দেই তাহলে হয়তো তারা আমাকে গ্রহণই করবে না। কারণ সবাইতো একটা সিস্টেমে অভ্যস্ত। সবাই অভ্যাসের দাস, হুট করেইতো সবকিছু সবাই মেনে নিতে পারবেও না। তো এই অভ্যস্ত জীবন থেকে সবাইকে একটা নতুন কায়দায় যদি নিতে চাই তাহেলেতা একটা প্রক্রিয়া দরকার। সেই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপটার দায়িত্ব আমি নিলাম।
সেই ম্যাজিকেল প্রথম ধাপটা কী ছিলো আসলে?
আগের বারে বইমেলায় সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে অবস্থিত স্বাধীনতা স্তম্ভটাকে যুক্ত করা হতো না, কিন্তু এবার এটাকে বইমেলার সাথে যুক্ত করাই ছিলো আমাদের মূল ম্যাজিক। স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে যে জলাশয়টা আছে এটা এবারের মেলায় আসা দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারবেন, তারপাশে বসতে পারবেন।
এরপর আমি যা করেছি সেটা হলো, বই মেলার লোগো কেমন হবে, গ্রাফিক্স কনসেপ্ট কী হবে, কালার টোন কী হবে এগুলোতে একটা পরিবর্তন। কারণ দেখলাম, একই জিনিষ বারবার করা হচ্ছে। কোনো পরিবর্তন নেই। নতুনত্ব নেই। এটা করতে বাংলা একাডেমির সবাই আমাকে সায় দিলেন। আমি বললাম, এসব ক্রিয়েটিভ কাজ করতে আমাদের একটা আগ্রহী দল লাগবে। মানে যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়! তখন সবাই একটু আস্বস্ত হলো। তারা হয়তো ভেবেছে, ওদেরতো কোনো মতলব নেই যেহেতু পয়সা টয়সা চাইছি না। বরং আমরা কাজ করলে আয়োজকদের পয়সা বেঁচে যাচ্ছে। মহা আনন্দে তারা আমাদের এসব কাজের দায়িত্ব দিয়ে দিলো।
পারিশ্রমিক ছাড়াই একটা আগ্রহী দলও পেয়ে গেলেন?
এখান থেকেতো আমার প্রাপ্তির কিছু নেই। আমার প্রাপ্তি একটা জায়গাতেই সেটা হলো, বই মেলার ইভেন্টটা জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি ইভেন্ট। আমাদের এই দেশে অনেক কিছু হয় খুব বর্ণাঢ্যভাবে, কিন্তু বই মেলার ইভেন্টটি হয় খুব গরিবী ভাবে, খুব ছাপোষা ভাবে। তারপরও বই মেলা নিয়ে আমাদের একটা আলাদা আবেগতো আছেই। তাছাড়া তারুণ্যের সময় এই মেলার সাথেতো একটা যোগাযোগ ছিলোই, লিটল ম্যাগে বসেছি বা কোনো এক সময় বই বের হয়েছে। সেই জায়গা থেকেই বই মেলাকে নান্দনিক আবেশ দিতে যখন অনেকের দ্বারস্থ হলাম যে আমরা ফ্রি সার্ভিস দিবো, তখন আমার ডাকে অনেকেই সাড়া দিলেন। যেমন সব্যসাচি হাজরা, লিটন কর, কার্টুনিস্ট মেহেদী, ইভেন্ট ক্রিয়েটিভ মারুফসহ আরো অনেকে আমাদের পরিকল্পনায় যুক্ত হলেন। এছাড়া আমার অফিসের বেশ কিছু মানুষ ছিলো, যারা প্রফেশনালি কাজ করে।
এতোগুলো মানুষকে পারিশ্রমিক ছাড়াই যুক্ত করছেন, নিশ্চয় উদ্দেশ্য খুঁজবে কেউ?
সারা জীবন যে আর্কিটেক্টরা এসব কাজ ফ্রি করে দিবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। বইমেলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের ডিজাইন নিয়ে বাংলা একাডেমির হেলদি একটা বাজেট থাকা উচিত। সেই প্রক্রিয়ায় যেন ভবিষ্যতে বাংলা একাডেমি যায়, সেই টোকাটা আমরা দেয়ার চেষ্টা করছি। হয়তো সেই কাজ আমরা করতে পারবো না, কিন্তু এই চর্চাটাও হওয়া উচিত বাংলা একাডেমির। যদিও তারা ইতোমধ্যে বলেছে, সামনের বছর থেকে বইমেলা নিয়ে আরো সুন্দর করে স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও আশাবাদী বাংলা একাডেমির আয়োজনে বইমেলা সামনে আরো নতুন মাত্রা পাবে।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু সেই তুলনায় বিশ্রাম নেয়ার মতো কোনো পরিবেশ থাকে না। এটার কথা কি ভেবেছেন?
বিশ্রাম ও দিকনির্দেশনা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা চেষ্টা করেছি। কিছুটা সফল হয়েছে। তবে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে যে জলাশয়টা আছে, সেটা এবার খুলে দেয়া হচ্ছে। এরপাশে উন্মুক্তপ্রান্তে এবার প্রচুর মানুষ বসতে পারবে।
এ বছর বইমেলায় দর্শনার্থীদের কাছে কোনো বিশেষ পরিবর্তন চোখে পড়বে কিনা?
এবার একটা জিনিষ সফলভাবে হয়েছে, সেটা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গণের বিন্যাসটা। এছাড়া গ্রাফিক্সগুলো অনেক আধুনিকভাবে দেখার সুযোগ পাবে মানুষ। বসার জিনিষগুলো খুব নান্দনিকভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু অনেক জিনিষ আমরা চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও পারিনি। সময় কম ছিলো, তাছাড়া অনেক জিনিষ আছে যা আগে যেরকম ছিলো সেরকমই তারা রেখেছে। এগুলোরও ধীরে ধীরে পরিবর্তন হবে।
কিছু ডিজাইন দেখা যায়, আর কিছু ডিজাইন ফিল করা যায়। ফিল করার জায়গায়টায় হয়তো মানুষ একটু পরিবর্তনের আভাস পাবে। মোটাদাগে বলতে গেলে, আমি দায়িত্ব নিয়েছি শুধু অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য।
আর নতুন যেটা দেখবে, খানিকটা পরিবর্তনের চেষ্টা। লে-আউট থেকে সবাই বুঝবে যে, কোনো লোকচুরি নেই। আর সেটা কিন্তু সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের অংশটায়, বাংলা একাডেমির অংশ যেমনটা ছিলো তেমনি আছে। এটাও একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার, কারণ দুই পাশের পার্থক্যটা লোকজন দেখলেই বুঝতে পারবেন। আধুনিক গ্রাফিক্স, বসার জায়গাতে একটু নান্দনিকতা আনার চেষ্টা করা হয়েছে। ইনফো গ্রাফিক্সের মাধ্যমে বই মেলার পরিচিতি, বাংলা একাডেমির পরিচিতি, ৭ মার্চ, স্বাধীনতা স্তম্ভ, ভাষা শহীদদের নিয়ে পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেই চেষ্টার একটা ছাপ এবারের বই মেলায় দেখা যাবে।বই মেলা নিয়ে এতো কথার বলার কারণ হলো, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ইন্টারেস্ট গ্রুপ তৈরী করা দরকার। যাদের আগ্রহ আছে, যারা পয়সার কাঙাল নয়, ধান্দাবাজি করতে চায় না, এমন একটা উদাহরণ তৈরী করাই ছিলো আমার উদ্দেশ্য। যদিও শুরুতে অনেকে আমাদের নিয়েও সন্দেহ করেছেন! কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতোগুলো ক্রিয়েটিভ মানুষের সমর্থন, পরিকল্পনা, স্বেচ্ছাশ্রম, কাজের উদ্যোমের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি বলেই মনে হয়। মাত্র দুই থেকে আড়াই সপ্তাহ পেয়েছি কাজের জন্য, আরো বেশী সময় পেলে হয়তো বেটার কিছু হতো। তারপরও আমি আশাবাদী, শুরুতো হলো।
এতো অল্প সময়?
এতো অল্প সময়ে পরিকল্পনা করে এক্সিকিউট করা টাফ। অনেকের অনেক অভিযোগ ছিলো। কিন্তু পুরো টিমকে আমি বলেছি, এখানে অভিযোগ করে বা কাউকে দোষারোপ করে এখানে কিছু হবে না, বরং যেটা পারো নিজে করে ফেলো। এই স্পিরিট টা টিমে খুব কাজে দিয়েছে।
তারমানে আপনি নিজেকে সফল ভাবছেন?
না, অনেক দুঃখ থেকে গেছে। আমি টয়লেটগুলো অন্যরকম করতে চেয়েছিলাম। প্রচুর বয়স্ক নারী সমাগম হয় বইমেলাতে, তাদের জন্য আলাদা কিছু করতে চেয়েছিলাম। আর এই প্রজেক্টের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো যারা ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ বা যারা শিশু তাদের জন্য আলাদা করে বিশেষ সুবিধায় কীভাবে মেলার ভেতরে প্রবেশ করানো যায় সেটার ব্যবস্থা করতে না পারা। অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, এ ধরনের ইভেন্টগুলো আরো মানবিক হওয়া উচিত। তবে আমি আশাবাদী পরবর্তী বেইমেলায় এসবকিছু সংযুক্ত করা হবে বলে বিশ্বাস করি।
আপনার স্থপতি পরিচিতি নিয়ে প্রচুর কথা হলো। কিন্তু আপনাকেতো আমরা চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও জানি। আপনার সিনেমার খবর কী? বিশেষ করে একটি সিনেমা শুরু করেছিলেন?ক্রিয়েটিভ প্রসেস ও কোলাবরেশন ডেবলপ করার চেষ্টা করছি অনেকদিন ধরে। যেখানে নানান মাধ্যমের সৃজনশীল মানুষরা একসাথে কাজ করতে পারবে। ইতোমধ্যে কিন্তু মুম্বাইয়ে আমরা একটা অফিসও করেছি। যেভাবে আমাদের গানের প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে। আর সিনেমার বিষয়টা হচ্ছে, কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে আমরা কীভাবে সিনেমা তৈরীর কাজে নিজেরা সাবলম্বী হতে পারি সেই প্রক্রিয়া শুরু করা। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা কিন্তু একটা সিনেমা বানিয়েও ফেলেছি, সেটা নিয়ে পরে সবাইকে জানাবো। আরো একটি ছবির কাজ শুরু হচ্ছে শিগগির। আমার প্ল্যান হচ্ছে, তরুণ চলচ্চিত্র কর্মী যারা আছেন তাদেরকে একটা রাস্তা দেখানো। যেন পরবর্তীতে তারা এখান থেকে সিনেমা নির্মাণ করতে পারেন।
যেমন?
চলচ্চিত্র নির্মাণে আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্টের অভাব, দেশের বাইরে যাওয়া ছাড়া সম্ভব নয়। আমি চাইছি যেনো এমনটা আমাদের দেশেই সম্ভব হয়। সেগুলো নিয়ে কাজ করছি, মানুষও তৈরী করা হচ্ছে। মূল কথা হচ্ছে বইমেলায় যেভাবে আমরা একটা আগ্রহী গ্রুপ তৈরী করে কাজ করলাম, সিনেমাতেও যেন তেমনটা করতে পারি। সেভাবেই এগুচ্ছি।
কিন্তু সিনেমা নির্মাণের প্রক্রিয়াটা কী হবে তাহলে?
আমার মূল পেশা স্থাপত্য। কিন্তু অনেক ধরণের কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি ভেবেছি আমার যে শক্তিটুকু আছে, যে সামর্থটুকু আছে, যে অভিজ্ঞতা বা স্পৃহাটুকু আছে এতাটুকু দিয়েই যদি নানানজনের জন্য জায়গা করে দেই তাহলে ভিন্ন কিছু ঘটবে, নতুন কিছু ঘটবে। যেভাবে আমার ‘এক নির্ঝরের গান’ এর প্রজেক্ট তৈরী হয়েছে। আমি গান লিখে সুর করে দিয়েছি, দেখা গেল নতুন একজন এসে সেটার মিউজিক করেছে, আরেকজন এসে গেয়েছে। একই রকম ভাবে সিনেমাটাও এভাবে এগুতে চাই। দেখা গেল কেউ সিনেমা করতে আগ্রহী, কিন্তু তার হয়তো টেকনিক্যাল সাপোর্ট নেই তাকে সেই জায়গায় কীভাবে কোলাবোরেট করা যায় সেটাই আমার উদ্দেশ্য। আমার এই প্রজেক্টের নাম ইএনসি, অর্থ্যাৎ এক নির্ঝর কোলাবরেশন। এটা আমার নামে দেয়ার কারণ হলো, আমার প্রচুর কন্টেন্ট আছে, যেখানে আমি সেগুলো দান করে দিয়ে যেতে চাই।
ছবি সূত্র: ইন্টারনেট