বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সময় ফুরিয়ে আসছে, আপানারা সংসদে আসছেন না কেন? উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না কেন? এভাবে বর্জনের ধারা যদি আপনারা অব্যাহত রাখেন আপনারা মুসলিম লীগের মতো বিলীন হয়ে যাবেন।
সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ কখন বিরোধীদল বিহীন রাজনৈতিক ময়দান প্রত্যাশা করে না দাবি করে ক্ষমতাসীনদের এ বর্ষীয়ান নেতা বলেন: বিরোধী দল বিহীন বাংলাদেশ আমরা চাই না। আপনাদের গলায় শক্তি থাকলে ৮ জনের কণ্ঠস্বর ৮০ জনের মতো কাজ করবে। সামনে সময় আর বেশি নেই। কেউই ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া বিরোধী দলের দায়িত্ব। আপনারা সংসদে আসুন।
নাসিম বলেন: বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসি নেতৃত্বের কারণেই একাত্তর ও পচাত্তরের ঘাতকদের বিচার হয়েছে। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ব্যাপকভাবে পালন করা হবে। দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাবেক রাষ্ট্রনায়ক যারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানেন তাদের এদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আনা হবে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন: বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে আসছেন। কিন্তু দুঃখ লাগে বঙ্গবন্ধুকে যেদিন নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়, সেই ১৫ আগস্টে ভূয়া জন্মদিনের নামে কেক কেটে আনন্দ-উল্লাস করেন খালেদা জিয়া ও তার দল। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানই আমরা করতে পারতাম না। এমনকি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও বাধা দিতো। এসব কর্মকাণ্ডের কারণেই আজকে তাদের এই করুণ পরিণতি বলে দাবি করে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাব্বির আহমেদ রনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, গণআজাদী লীগের আতাউল্লাহ খান, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে।