বিদেশী ফল ড্রাগন। এখনো ঠিকভাবে সবার কাছে পরিচিতই হয়ে উঠেনি। তবে বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেবল স্থানীয়ভাবেই না, বাণিজ্যিকভাবেও সেখানে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল।
বাংলাদেশে বাউ ড্রাগন ফল-১ সাদা ও বাউ ড্রাগন ফল-২ লাল এই দুই ধরনের চারা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাজশাহী উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার কেন্দ্রগুলোতে সফলভাবে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে এখন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মতিউর রহমান মতি জানান, তিনি ড্রাগন ফল নিয়ে গবেষণা করছেন। ক্যাকটাস জাতীয় এই উদ্ভিদ বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়ায় ভালো চাষ হবে বলেই মনে করেন।
রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সিলর ফাহিম আরা ইতি জানান, ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, মিনারেল, উচ্চ ফাইবারযুক্ত অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
ড্রাগন ফলের ঔষধি গুণ সম্পর্কে হারবাল গবেষকদের মতে, ড্রাগন ফল শরীরে ফাইবার সরবরাহ করে যা পেটের অসুখ ও লিভারের জন্য খুবই ভালো। এই ফল খেলে ডায়বেটিক রোগীদের শরীরে রক্তের গ্লুকোজও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক অঞ্চলিক পরিচালক রবীন্দ্র কুমার মজুমদার জানান, বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের আবাদ সবেমাত্র গবেষণাগার থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য এর ২টি জাত রয়েছে। বাউ ড্রাগন ফল -১ সাদা এবং বাউ ড্রাগন ফল-২ লাল। এর মধ্যে লাল রং এর ড্রাগন ফলের চারা আমাদের দেশে বেশি পাওয়া যায়।