বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বানীয়াশুরী গ্রামের বাদামতলা এলাকার বাসিন্দা হেলাল সিকদার (২৬)। চীনের একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তিনি। এক বছর আগে চীনে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়ার জন্য যান।
চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে রোববার ভোরে হেলাল সিকদার চীন থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। সাথে তার সুস্থতার ডাক্তারি সার্টিফিকেটও নিয়ে আসেন।
এরপরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে হেলাল পরিবারের সদস্যদের থেকে ১৪ দিন আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক তার বাবা-মা, বোনসহ অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি থেকে অন্য স্থানে চলে যায়। বিষয়টি রোববার সন্ধ্যার পরে জানাজানি হলে এলাকায় করোনা ভাইরাসের গুজব ছড়িয়ে পরে।
রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে হেলাল সিকদার সাংবাদিকদের জানান: তার করোনা ভাইরাস নেই। যেহেতু তিনি চীন থেকে এসেছেন তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিবারের সদস্যদের কিছুদিন অন্য জায়গায় থাকতে বলেছেন।
তিনি আরও জানান: চীন থেকে নিজ খরচে ফেরার পথে চারটি স্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও স্ক্যান করা হয়েছে তার। এছাড়াও তাকে কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৪ দিন রাখা হয়েছিলো। এতে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পরও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এতেও তার শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তারপরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো তাকে বিশ্রামের জন্য ১৪ দিন পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন: বিষয়টি রোববার রাতে শোনার পরই চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা করে ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছিলো। তারা চীন ফেরত ওই ছাত্রের সাথে কথা বলে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সকল কাগজপত্র চিকিৎসকদের দেখিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন হেলাল সিকদারের শরীরের করোনা ভাইরাসের কোন আলামত নেই।