এক বছর বিরতি দিয়ে আবারও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ক্রিস গেইল। খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। জাতীয় দলে ফিরেই এবার বড় স্বপ্ন বুনছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব। লক্ষ্যও স্থির করেছেন, খেলতে চান ২০১৯ বিশ্বকাপে। কথাটা এমন সময় বললেন, যখন নিজ দেশের বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘদিনের জমাট বাধা বরফটা গলতে শুরু করেছে।
গেইল সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টির আগে সবশেষ ম্যাচটি ছিল গত বছর বিশ্বকাপ টি-টুয়েন্টিতে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই বছর আগের টেস্টটাই হয়ে আছে গেইলের আপাতত শেষ টেস্ট।
গত বছর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ব্রাত্য গেইল দলে ফিরেই স্বপ্ন বুনছেন ক্যারিবীয়দের হয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার। জানিয়েছেন বিশ্বকাপের জন্য কতটা মরিয়া, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমাকে খেলতে দেখায় অনেকেই আশা করে আছেন। আমার মনে হয় আরও কিছু ম্যাচ খেলতে পারবো। সঙ্গে ২০১৯ বিশ্বকাপটাও।’
নিজের ইচ্ছাপূরণ করতে হলে ফিটনেসটাকে শক্তভাবে ধরে রাখতে হবে গেইলকে। বয়স হয়ে গেছে ৩৭’র বেশি। বিশ্বকাপ চলে আসতে আসতে বয়স পৌঁছে যাবে ৪০’র কোটায়। তবে বিষয়টা ভালোমতোই মাথায় আছে এই বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের, ‘এখনও ঠিকঠাক মত জিম করি। প্রচুর ভ্রমণ করতে হয় আমাকে। তাই সবকিছু ঠিকঠাক মত দেখাশুনা করছি।’
ক্যারিবীয় বোর্ডও গেইলসহ কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো, সুনীল নারাইনদের দলে ফেরাতে বেশ ইচ্ছুক। বোর্ডের সঙ্গে ব্রাত্য ক্রিকেটারদের শীতল আচরণ উষ্ণ হওয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকা এইসব দলছুট ক্রিকেটারদের ভিড়িয়ে সামনের বিশ্বকাপে শক্তিশালী দল গড়তে চান উইন্ডিজের বোর্ড কর্মকর্তারা।