চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার আহবান

বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্কুল থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের স্কুলে স্কুলে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চালানো শিক্ষামূলক কার্যক্রমে এ আহবান জানিয়ে বলা হয়েছে, এজন্য সচেতনতা দরকার অভিভাবকদেরও।

প্রকৃতি আর পাহাড়ী বনের কোলে বসবাস করলেও এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনতা না থাকায় নিজের অজান্তেই বনের ক্ষতি করে বসছে অনেকে। এ জন্যই দেশের অন্যান্য বনাঞ্চলের পর দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পাশে শিক্ষার্থীদের সামনে সচেতনতামূলক ভিডিও চিত্র তুলে ধরেছে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন।

উদ্যোক্তারা বলেছেন, পরিবেশ-সহায়ক বই ও চিত্রাংকনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বন ও জীববৈচিত্র্যকে ভালবাসতে শেখার তাগিদ দিতে শিশুকাল থেকেই শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে।

অব্যাহত কার্যক্রমে সচেতনতার শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদ দেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। তিনি বলেন, ব্যাঙ ও প্যাঁচা পোকা খেয়ে আমাদের ফসলের অনেক উপকার করে। সাপকে আমরা ভয় পাই। কিন্তু সাপ ইঁদুর খেয়ে ফসল রক্ষা করে।

রাতে সচেতনতার বার্তা অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরে মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এসব গাছ-পালা, পশু-পাখি কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আপনারা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হবেন এই আশায় আমরা এখানে এসে ডকুমেন্টরি দেখাচ্ছি।

অভিভাবকরা মনে করেন, বন রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করবে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের শিক্ষামূলক এই কার্যক্রম। স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বন-জঙ্গল,পশু-পাখি রক্ষা করা উচিৎ। তারা আরো মনে করেন, এই অভয়ারণ্য থেকে বিলুপ্ত হওয়ার পথে থাকা পশু-পাখিগুলো এখন থেকেই সংরক্ষণ করতে হবে।

সচেতনতা অব্যাহত রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার করিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শপথ থাকবে আমরা গাছ কাটবো না, কোনো প্রাণিকে মারবো না, পরিবেশকে রক্ষা করবো।

একই অঙ্গীকার তিনি শিক্ষকদেরকেও করান।

সেসময় বান্দরবান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবেশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দেবেন তারা। দুধপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চালানো শিক্ষামূলক কার্যক্রম ও তাদের দেখানো ডকুমেন্টারি থেকে শিক্ষার্থীরা জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পারবে ও বাস্তবজীবনে এই শিক্ষার প্রয়োগ করতে পারবে।

বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা আশা করেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সারা দেশেই ছড়িয়ে যাবে বন ও পরিবেশ রক্ষার আহবান।