উজানে যমুনার নদীর পানি কিছুটা কমলেও ভাটি অঞ্চলে ব্রক্ষ্মপুত্র ও ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমে রোববার সকালে বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলায় ৭টি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের ৩৯১ গ্রামের ও ৮টি পৌরসভার ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৭ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে করে ৬ হাজার ৬৬২টি ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে।
বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানিয়েছেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পাট, আমনের বীজতলা, আউশ ধান, সবজিসহ অন্তত ১৩ হাজার ৩৪৩ হেক্টর জমির ফসল। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে ৪৯টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। এছাড়া ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। আর এই বন্যায় ৯০ হাজার ৪২৩ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮৪ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৩ লাখ ৫০ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেজ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।