উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। যমুনার পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জ বালিঘুগরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে জামালপুরের ২০ গ্রাম।
বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নির্মাণাধীন বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে বন্যার পানি ঢুকে সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার আরো কিছু গ্রামের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে নতুন করে।
ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাড়ি ঘর সরিয়ে নিয়ে লোকজন পুরাতন বাঁধ ও রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছে। বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ বালিঘুগরী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আবারও শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে বাঁধের প্রায় ৪’শ মিটার এলাকা। ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছে বাঁধের আশেপাশের ৭ গ্রামের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে বিকল্প বাঁধ তৈরির কাজ চলছে।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৮ সেন্টিমিটার কমলেও এখনও বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১০টি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। ফুলছড়ির সিংড়িয়া বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তীব্র স্রোত আর ভাঙ্গনের কারণে বালাসী রেলওয়ে পল্টুন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ। যমুনায় উজানে পানি কমতে শুরু করলেও বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রসহ শাখা নদীগুলোর পানি। ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকের পাট তলিয়ে গেছে।