টানা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মনু নদীর বাঁধ ভেঙে রাস্তা প্লাবিত হওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে চারটি উপজেলা এবং সিলেটের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণের তীব্র সংকট।
স্থায়ীভাবে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। স্কুলগুলোতে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্লাবিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দকৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার না হওয়া এ বন্যার অন্যতম কারণ।
এর মধ্যে শনিবার দিবাগত রাতে বারইকোনা এলাকায় মনু নদীর বাঁধ ভেঙ্গে শহরে বন্যার পানি প্রবেশ করে।এর ফলে মনু ও ধলাই নদীর ১৫ টি পয়েন্টে ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মনু নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বারইকোনা এলাকা ভেঙ্গে শহরে পানি প্রবেশ করে। এতে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজার সিলেট সড়ক। পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা পরিষদ ভবনেও।
মৌলভীবাজারের বরহাট, ধরবাপন, হিলালপুর, ঘড়ুয়া এলাকার বাড়িঘরে এখন ৩ ফুট উঁচু পানি। শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পশ্চিমবাজারে পানির প্রবেশ ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। উপদ্রুত গ্রামগুলো থেকে বন্যা আক্রান্তদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
জেলা শহরের ৪টি সরকারি খাদ্য গুদামে পানি প্রবেশ করেছে। এসব গুদামের প্রায় ২ হাজার মেট্রিকটন মজুদ খাদ্যশষ্য অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শহরের বড় বড় বাণিজ্যিক ভবন ও বিপনী বিতানগুলোর বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।