চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে যখন গতকাল সোমবার কথা হয়, তখন ঢাকার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চঞ্চলের কণ্ঠ শুনে মনে হচ্ছে, তিনি খুবই ক্লান্ত। যেন নেতিয়ে পড়েছেন। তিনি আছেন টাঙ্গাইলের কালিয়াকৈর এলাকায়। সেখানে গরম আরও বেশি। জানালেন, গরমে যখন ঘরেই টেকা যাচ্ছে না, তখন রেল লাইনের পাশ দিয়ে বাইসাইকেল চালাতে হচ্ছে তাকে। আবু হায়াত মাহমুদের ঈদের নাটক ‘প্রায়শ্চিত্ত’র শুটিং হচ্ছে। কালিয়াকৈরে চঞ্চলের সঙ্গে আছেন মামুনুর রশীদ, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, তাসনুভা তিশা। সবাই পড়েছেন তীব্র গরমের কবলে। সারাদিন ঘেমেছেন। কয়েক লিটার পানি ঘামের সাথে বের হয়েছে।
গরমের অবস্থা বর্ণনা করতে দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আজ কালিয়াকৈরে শুটিং করছি। এ জীবনে যত কষ্ট সহ্য করেছি, আজ এক দিনেই তার চেয়ে বেশি কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। কারণ রেললাইনের পাশে সাইকেল চালানোর দৃশ্য ছিল। রেল ক্রসিংয়ে আটকে থাকা। আর এই সময়টায় খা খা রোদ। সব কিছু যেন পুড়ছে। সারা দিনে কয়েক লিটার ঘাম ঝরছে। খুব অসুস্থ আর ক্লান্ত লাগছে। কিন্তু ঈদের কাজ। করতেই হবে। এত গরম জীবনে সহ্য করিনি।’
গরম থেকে বাঁচার জন্য সারা দিন লেবুর সরবত আর স্যালাইন খাচ্ছেন তারা। বললৈন, ‘পানি, লেবুর সরবত, স্যালাইন না খেলে মারাই যেতাম। সারা দিন একজন মানুষ ঘামলে তার বাঁচার কথা না। বন্যার মতো ঘাম বের হচ্ছে। খুবই কষ্ট হচ্ছে শুটিং করতে। ঢাকায় শুটিং হলে একটা শট নিয়ে আধঘণ্টা এসির ভেতর বসা যায়। ঢাকার সব শুটিং হাউজে মেকআপ রুমে এসি আছে। এখানে তেমন কিছু নেই।’