দেশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘসময় স্থায়ী বন্যার পানি কমলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। এখনও কষ্টে দিনযাপন করছে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষেরা।
টাঙ্গাইল
সব নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকায় আরো উন্নতি হয়েছে টাঙ্গাইলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ধলেশ্বরী ও বংশাই নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখনও বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে। জেলার পূর্বাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে এখনও অসংখ্য ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হওয়ায় এসব এলাকার মানুষের খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সবগুলো নদনদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ।
তবে পানি কমার সাথে সাথে জেলার ৪টি নদীর অর্ধশতাধিক এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
সেই সাথে দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় বিভিন্ন চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগ ব্যাধি দেখা দিয়েছে ওইসব দুর্গত এলাকায় মানুষের মধ্যে। মিলছেনা প্রয়োজনীও ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা।
কুড়িগ্রাম
দীর্ঘ বন্যা শেষে পানি নেমে গেলেও ভালো নেই কুড়িগ্রামে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে ঘর-বাড়ি, ফসল।
বন্যা দুর্গত চরাঞ্চলগুলোতে কর্মহীন থাকা মানুষজনের খাদ্য সঙ্কট বেড়েই চলেছে। দিনে দিনে গো-খাদ্যের সঙ্কট প্রকট হয়ে উঠছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারেনি অনেক বানভাসী পরিবার।
সরকারী হিসাবে বন্যায় ৫ শত ঘর-বাড়ি নদী ভাঙ্গন ও পানিতে ভেসে যাওয়ার হিসাব দেয়া হলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, দীর্ঘ বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।