রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে চাল আমদানি কম। রাইস মিল মালিকরাও চাল গুদামে রেখে দেয়ায় চালের বাজারে এক ধরনের দাম সংকট তৈরি হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে চালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে, মোটা চালের তুলনায় চিকন চালের দাম বেড়েছে বেশি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কুমিল্লা রাইস এজেন্সির সারোয়ার চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মিল মালিকরা মৌসুমের সময়ে কম দামে ধান কিনে মজুদ করেছেন। আর এখন মৌসুমের শেষে বাজারে ধান কম থাকায় চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ টাকা বেড়েছে। চিকন চাল বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা।
চাল ব্যবসায়ী মানিক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ১৫ দিনের ব্যবধানে চালের বাজারে আগুন। গুদামে কোন চাল নেই, চাল আমদানি হচ্ছে না; সে কারণে বাজারে চাল পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই।
তার দেওয়া হিসাবে: ১৫ দিন আগেও জিরা নাজির প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৩৯ টাকায় যা এখন ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে ৪৩-৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম প্রতি কেজি ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়। অরিজিনাল নাজির চালও প্রতি কেজি ৬ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৭ ও বিআর২৮-চাল কেজি প্রতি বেড়েছে ৬ টাকা।
হঠ্যাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি কেন?
ব্যবসায়ী মানিক বলেন, মিলের মালিকরা পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল আমদানি করছেন না, পাইকারীভাবে চাল বেশি টাকায় কিনে আনায় চালের দাম বেড়ে গেছে। সামনে রোজা তাই চালের দামে আরো প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে কয়েকটি কারণ বলেছেন কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মালিক সারোয়ার।
তিনি বলেন, অনেক জেলার ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অগ্রহায়ণেও ফসল ডুবে যাওয়ায় চালের সংকট। ভারত থেকেও চাল আমদানি বন্ধ থাকাও একটি কারণ বলে দাবি করেন তিনি।
তবে, সাধারণ মানুষের প্রশ্ন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ধান বাজারে আসতো আরো পরে। এখনই তার প্রভাব কেন!