মাঠের বাইরে তাদের দারুণ বন্ধুত্ব। সেই শৈশব থেকে যার শুরু। লিওনেল মেসি ও সেস্ক ফ্যাব্রিগাস। বুধবার মাঠে নেমেই আবার হয়ে যাবেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে নামবেন মেসি। আর তাকে আটকাতে চেলসির জার্সি গায়ে অতিথি হয়ে আসবেন ফ্যাব্রিগাস।
বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ১.৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হবে চেলসি ও বার্সেলোনা। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল প্রথম লেগ।
বার্সার যুব একাডেমি লা মেসিয়ায় ফুটবলের হাতেখড়ি। মেসি-ইনিয়েস্তা-পিকেদের সঙ্গে খেলে বড় হয়েছেন ফ্যাব্রিগাস। প্রথম ক্লাব আর্সেনালে যখন ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে তখন বন্ধু মেসির এক ডাকেই গায়ে বার্সায় চলে যান। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিন মৌসুম পর্যন্ত। এরপরেই যোগ দেন চেলসিতে।
তিন মৌসুম পর ফিরছেন প্রিয় মাঠে কিন্তু প্রিয় বন্ধু মেসির প্রতিপক্ষ হয়ে। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জানাচ্ছেন কাজটা তার জন্য অন্যরকম প্রেরণারও।
‘মেসি-পিকেদের বিপক্ষে খেলা আমাকে সবসময় প্রেরণা যোগায়। বিশেষ করে মেসির বিপক্ষে। ওকে আটকানো মোটেও সহজ নয়। সুযোগ পেলে আমার চেষ্টাই থাকবে তাকে আটকানোর।’
আবেগে ভাসলেও নিজের দায়িত্ব ভুলছেন না ফ্যাব্রিগাস, ‘আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্লাবকে শেষ আটে নিয়ে যাওয়া। তাই অন্য কিছু ভাবছি না এখন।’
ঘরের ছেলে যখন বিভীষণ হয়ে ফিরছেন ন্যু ক্যাম্পে, দর্শকরা তখন কেমনভাবে নিবে তাকে? এর উত্তরেও ভীষণ পেশাদার মেসিদের বন্ধু, ‘কে কীভাবে নিল সেটা একদমই অযৌক্তিক। দিনশেষে গুরুত্বপূর্ণ হল চেলসি কিংবা বার্সা কে কেমন খেললো সেটা।’