চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বন্ধু থেকে জীবনসঙ্গী হয়েছেন যেসব তারকা জুটি

দীর্ঘদিনের বন্ধু থেকে জীবনসঙ্গীতে রূপ নেওয়া বেশ কিছু তারকা জুটি রয়েছে মিডিয়া অঙ্গণে। সর্ম্পকের প্রথম দিকে খুব ভালো বন্ধু ছিলেন তারা। বন্ধুত্বের বন্ধন থেকে ধীরে ধীরে জীবনের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সেইসব তারকারা। তবে এখনো সেই বন্ধুর জন্য ভালোবাসা, বিশ্বাস সবকিছুই আছে আগের মতই রয়েছে। শুধু পাল্টেছে সর্ম্পকের নাম এবং দায়িত্ব।

জীবন সংসারে ঢোকার পর কখনো বন্ধুত্বের সেই জায়গাটি নড়েছে কিনা বা জীবনসঙ্গীর কারণে সেই বন্ধুকে হারিয়ে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর চ্যানেল আই অনলাইনে বন্ধু দিবসের বিশেষ সাক্ষাতকারে জানালেন মিডিয়া অঙ্গণের কিছু জুটি।

ড. ইনামুল হক: সর্ম্পকটা শিল্প সংস্কৃতির মত
ছোট পর্দায় সুখী দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম দম্পতি ড. ইনামুল হক ও লাকি ইনাম। সম্পর্কটা বন্ধুত্ব দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা জীবনসঙ্গীতে পরিণত হয়। বন্ধুতের বন্ধন যে আজীবন বন্ধন সেটি আজো মনে করেন প্রবীন এ দম্পতি। বন্ধু দিবসে তাই লাকি ইনামের সঙ্গে ফেলে আসা সেই বন্ধুত্বের কথা মনে পড়ে যায় জনপ্রিয় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হকের।

ইনামুল হক বলেন, আমাদের বন্ধুত্বের ভালোলাগা শুরু হয় শিল্প সংস্কৃতির হাত ধরে। তাই আজও শিল্প সংস্কৃতির মতই রয়েছে আমাদের বন্ধন।

তবে ইনামুল হক মনে করেন, বন্ধুত্বের জায়গায় একে অপরের অমিল না থাকলেও জীবনসঙ্গীদের মতের অমিল থাকতেই পারে। সেই অমিল থেকেই এ অভিনেতা বলেন, লাকির সঙ্গে আমার অনেক কিছুর অমিল থাকার পরও আমরা সর্বোপরি ভালো বন্ধু। তাই একে অন্যকে খুব সহজে বুঝতে পারি এবং সব বিষয়ে একে অন্যকে ছাড় দিতে পারি। একে অন্যের কাজ প্রশংসা করতে পারি, সহযোগিতা ও সমালোচনা করতে পারি। আসলে দু’জনের সুখটা পরম্পরা। আর আমাদের সম্পর্ক দেখে আমাদের সন্তানরাও তাদের জীবন সংসার গুছিয়ে নিচ্ছে। আসলে প্রত্যক সম্পর্ক মান-অভিমান থাকবে, ঝগড়া থাকবে কিন্তু একজন ব্যক্তিকেই এগিয়ে আসতে হবে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। তাহলে সেই সম্পর্ক হবে দৃঢ়।

ফেরদৌস: বন্ধুত্ব থাকলে সম্পর্ক বোরিং লাগে না
বড় পর্দার জনপ্রিয় মুখ ফেরদৌস। জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দীর্ঘদিনের বন্ধু তানিয়া রেজাকে। সংসার জীবনে বন্ধু তানিয়া রেজাকে খুব ভালোভাবে মেনে নিয়েছেন এ চিএনায়ক।

তিনি বলেন, এতোবছর কাটিয়ে আসার পরও আমাদের মধ্যে এখনো সেই বন্ধুত্ব আছে। কিন্তু ধরণ পাল্টে গেছে। আগে ছিল দু’জনের বন্ধুত্ব আর এখন চারজনের বন্ধুত্ব। বড় মেয়ে নুজহাত ও ছোট নামিরা এখন আমাদের বন্ধুত্বে বেড়ে উঠছে। যেকোনো সম্পর্কের আগে বন্ধুত্ব দরকার বলেও মনে করেন ফেরদৌস।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকলে বোঝাপড়া, বিশ্বাস, ভালোবাসা সবটাই থাকে। আর সবচেয়ে বেশি থাকে আত্মবিশ্বাস। এছাড়া বন্ধুত্ব সম্পর্ক থেকে যেকোনো সম্পর্কে যেতে বোরিং লাগে না। তবে হ্যাঁ বিয়ের পর বন্ধুত্বটা কিছুটা হলেও হারিয়ে যায়। তার কারণ বন্ধুত্বে তেমন দায়িত্ব থাকে না কিন্ত সংসার জীবনে হাজারো দায়িত্ব থাকে। আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো সম্পর্কে পরিবর্তন আনা দরকার। তাহলে সম্পর্ক মজবুত হয়।

হৃদি হক: সম্পর্কটা এখনো বিবাহিত ব্যাচেলর
মঞ্চ নাটক করতে গিয়ে প্রথমে বন্ধুত্ব এরপর নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় মিডিয়া জুটি হৃদি হক ও লিটু আনাম। বন্ধুত্বটা প্রেমে গড়িয়েছে কবে তা জানা নেই হৃদি হকের। তাই এখনো তিনি মনে করেন তাদের সম্পর্কটা ব্যাচলর জীবনের মতই।

শুধু নাম পাল্টে বিবাহিত ব্যাচেলর হয়ে গেছে।

হৃদি হক বলেন, লিটু এখনো আমার সেই আগের বন্ধুটির মতই রয়েছে। আমাদের প্রেম, দাম্পত্য জীবন সবকিছুকে ছাড়িয়ে বন্ধুত্বটাই বড় হয়ে উঠে। তবে এই বন্ধুত্বে আরো দু’জন আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমার ছেলে ও মেয়ে।

তপু: সম্পর্ক আরো মজুবত হয়েছে
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তপু বিয়ে করেছেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু নাজিবাকে। বন্ধুকে জীবনসঙ্গী করতে পেরে নিজের সৌভাগ্যবান মনে করেন তিনি।

তপু বলেন, যেকোনো সম্পর্কে ঢোকার আগে বন্ধুত্ব অনেক বেশি জরুরি। বন্ধুর কাছে আগে যেমন এক অন্যকে সবকিছু শেয়ার করতাম এখনো সেটি করি। কোনো পরিবর্তন হয়নি। একসঙ্গে খেতে যাই, ঘুরতে যাই। সবকিছুই আগের মতই আছে। তবে হ্যাঁ ওকে বিয়ে করার একটি জিনিস পরিবর্তন হয়েছে।
যখন বন্ধু ছিলাম তখন একসঙ্গে একই ঘরে থাকা হত না আর এখন সারাক্ষণই একই ঘরে থাকা হচ্ছে একে-অন্যকে সবসময় দেখছি। এ কারণেই বন্ধুত্বের পর জীবন সংসারে গেলে সে সম্পর্কটি আরো বেশি মজবুত ও দৃঢ় হয়।