ফিরেই ৬২ রানের ঝকঝকে ইনিংস কোহলির। তাতেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর স্কোরটা ১৪২’র বেশি হল না। তবু বল হাতে স্যামুয়েল বদ্রি আগুন জ্বালানোয় এই অল্প রানেই আশা দেখছিল কোহলিরা। কিন্তু পোলার্ডের ৭০ রানের ইনিংসের বাতাসে সেই আগুন নাই হয়ে গেছে। মুম্বাই তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ৬ উইকেট হারিয়ে।
বদ্রি এদিন শুধু হ্যাটট্রিকই করেননি; ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। তবু দলের হার এড়াতে পারেননি!
মুম্বাই টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কোহলি ছাড়া আর কেউ তেমন রান পাননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে গেইলের ব্যাট থেকে, ২৭ বলে ২২। ডি ভিলিয়ার্সও সুবিধা করতে পারেননি। ২১ বলে মাত্র ১৯ রান করে ফিরে যান।
জবাব দিতে নেমে ৭ রানের মাথায় বাটলারকে (২) হারায় মুম্বাই।
তৃতীয় ওভারে বদ্রি মুম্বাইকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। দ্বিতীয় বলে পার্থিব প্যাটেলকে (৩) ফেরানোর পরই ম্যাকক্লেনঘানকে (০) বোকা বানান। হ্যাটট্রিকের বলে রোহিত শর্মাকে দুর্দান্ত এক গুগলিতে বোল্ড করেন।
এরপর নীতিশ রানা এবং পোলার্ড ২৬ রানের জুটি গড়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেন। অষ্টম ওভারের শেষ বলে এই জুটিও ভাঙেন ওই বদ্রি। রানাকে (১১) অরভিন্দের হাতে ধরা পড়তে বাধ্য করেন।
কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন পোলার্ড। কুরুনাল পাণ্ডের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেন। ৪৭ বলে ৭০ রান করে বিদায় নেয়ার সময় দলকে রেখে যান ১২৬ রানে। বাকি কাজটুকু সারেন দুই পাণ্ডে-কুরুনাল এবং হার্দিক। ৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন তারা।
মুম্বাই ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে আপাতত শীর্ষে আছে। তাদের পয়েন্ট ৬। বেঙ্গালুরুকে ৪ ম্যাচ শেষে মাত্র ১ জয় নিয়ে ছয় নম্বরে থাকতে হচ্ছে।