চাপ নেই বলেই কি সেরাটা বেরিয়ে এলো? বিশ্বকাপ শেষে চাইলে নিজেরাই নিজেদের এই প্রশ্নটা করতে পারেন সাউথ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। যে দলটার ব্যাটিং পুরো আসরজুড়ে ভুগলো, সেমি থেকে বাদ পড়ার পর সেই দলটারই যে শীতঘুম ভাঙল দারুণভাবে। শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তুলল ৬ উইকেটে ৩২৫।
একই কথা খাটে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের বেলাতেও। দলের যখন খুব করে প্রয়োজন তখন কথাই শোনেনি তার ব্যাট। যেই সেমির সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল তখনই ফিরলেন ফর্মে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তুলে নিলেন সেঞ্চুরিও।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে শনিবার কম-বেশি রান পেয়েছেন সব প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই। ওপেনিং জুটিতেই এলো ঝড়ের বেগে ৭৯ রান। দুই ওপেনার এডেন মার্করাম ও কুইন্টন ডি কক করলেন ৩৪ এবং ৫২ করে রান।
ওপেনারদের দেখানো পথে তৃতীয় উইকেটে পাহাড় গড়লেন ডু প্লেসিস ও রেসি ফন ডার ডুসেন। এই জুটিতে রান এলো ১৫১। তাতেই বড় রানের ভিত্তি পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
৯৩ বলে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তোলার পরের বলেই আউট হয়েছেন ডু প্লেসিস। ৭ চারের সঙ্গে দুই ছক্কা আছে তার ইনিংসে।
তবে দুর্ভাগ্য ফন ডার ডুসেনের। ইনিংসের শেষ বলে ছয় মারতে গিয়ে মাত্র ৫ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি তার। ৯৭ বলে আউট হয়েছেন ৯৫ করে।
২টি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেসন বেহরেনডর্ফ ও প্যাট কামিন্স। স্টার্কের আসরে ২৬ উইকেট হল, এক বিশ্বকাপে তাতে গ্লেন ম্যাকগ্রার সর্বোচ্চ ২৬ উইকেটের রেকর্ড ছুঁয়েছেন।