ধর্ষণের সাজা বেড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। এই মর্মে সংসদে সংশোধিত আইন পাস হয়েছে। সাজা হুট করে বাড়েনি। নোয়াখালির বেগমগঞ্জে এবং সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষণ ও যৌন-নির্যাতনের ঘটনায় দেশে গড়ে উঠে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন। বিভিন্ন মহল মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলে। দাবির মুখে, চটজলদি, প্রথমে রাষ্ট্রপতির আদেশে অধ্যাদেশ এবং পরে সংসদে আইন পাস হয়।
মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারছি না। কারণ আমি প্রাণদণ্ড বিরোধী। উন্নত দেশগুলো আরো মানবিক হবার চেষ্টা করছে। কিন্তু উল্টো স্রোতে গিয়ে, আমরা রাষ্ট্রকে জবরদস্তি করছি প্রাণ কেড়ে নেয়ার আইন করতে। এটি সমর্থনযোগ্য নয়।
সাধু-শয়তানে ফারাক সামান্যই
প্রাণদণ্ডের বিধানকে স্বাগত না জানানোর আরেকটি কারণ হলো, একজন অপরাধী, সাধারণত, কখনই একা-একা নিজে-নিজে অপরাধী হয়ে উঠতে পারে না। বিশেষত, আমাদের মতন উচ্চমাত্রায় দুর্নীতির দেশে তো নয়-ই। সমাজের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আস্কারা ও অবহেলায় একজন মানুষ ক্রমে নারী-বিদ্বেষী, পুরুষতান্ত্রিক ও ধর্ষক হয়ে ওঠে। সত্যি বলতে, নারী প্রশ্নে এদেশে সাধু ও শয়তানের মনোভঙ্গিতে ফারাক পুলসিরাতের পুলের মতন অতীব সূক্ষ্ম।
বাংলাদেশের সমাজ তীব্রভাবে নারী-বিদ্বেষী। রীতি-নীতি থেকে আইন-কানুন সবখানেই পুরুষের তুলনায় নারী হীনস্থানে। পরিবার, সমাজ রাষ্ট্র— সর্বক্ষেত্রে পুরুষকে ক্ষমতাবলয়ের কেন্দ্রে রেখেছে। এদেশে এখনও চালু আছে ব্রিটিশ আমলের স্বাক্ষ্য আইন। এই আইনের বরাতে এখনও আদালতে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে। হাজার বাধা ডিঙিয়ে কোনো নারী ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দোরগোড়া পর্যন্ত যেতে পারলেই যে সুবিচার পাবে তেমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ আইনের ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে অভিযোগকারী নারীকেই যদি উল্টো ‘দুশ্চরিত্রা’ বা ‘বহুগামী’ বা ‘চরিত্রহীন’ বলে ছাপ্পর মেরে দেয়া যায় তবেই খেল খতম। ফরিয়াদীর ‘চরিত্রই’ যেখানে ঠিক নাই, সেখানে তার অভিযোগই নড়বড়ে হয়ে যায় বৈকি।
তাই, আইনের ফাঁক-ফোকর জিইয়ে রেখে ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করলেও কোনো বিশেষ লাভ নেই। তাছাড়া, আইন কঠোর হলেই যে অপরাধ কমবে তেমন দৃষ্টান্তও সামনে বিশেষ নেই। বরং আইন কঠোর হওয়ায় এখন হিতে বিপরীতের আশঙ্কা বেড়েছে।
ইতোমধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগে জেলে থাকা অভিযুক্তের সাথে ধর্ষণের শিকার নারীকে বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখানেই আকবর আলী খানের ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইয়ের একটি উদাহরণ মনে পড়ছে। সেটিও আইনের কঠোরতা প্রসঙ্গেই। দুধে পানি মেশানোর প্রবণতা কমাতে তৎকালে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়। কিন্তু অপরাধ না কমে উল্টা বেড়ে যায়। কারণ পানি মিশানোর আইনে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দুধ-বিক্রেতাদের কাছ থেকে উপরি পাওনা কামাই করছিলেন আইনের লোকেরা। শেষে অবস্থা এমন দাঁড়ালো যে, ‘উপরি খানেওয়ালা’দের টু-পাইস যোগান দিতে গিয়ে দুধ-বিক্রেতারা বাধ্য হয়েই দুধে পানি মেশাচ্ছেন।
মুক্তি নাকি নতুন ফাঁদ
ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার বাস্তবতা তৈরি করে ক্ষমতাহীনদের ফাঁসিয়ে দেয়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কারণ আমাদের এই ‘সৎ লোক’-এর দেশেই দুধে পানি মেশানোর দায়ে সাজা দেয়ার ভয় দেখিয়ে উপরি কামাইয়ে কৌতুক বা গল্প চালু আছে। আবার আইনের এই কঠোরতার কারণেই ধর্ষণের মামলা করার প্রবণতাও কমে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যেই এর আলামতও দেখা যাচ্ছে। ফেনী ও নাটোরে ধর্ষকের সাথে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে হয়েছে। ১৯শে নভেম্বরে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি বাংলা। নাটোরে আদালত চত্বরে আর ফেনীতে কারাগারে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
‘মিয়া বিবি রাজি তো ক্যায়া কারে গা কাজী’ই সত্য হলো। অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর দুইপক্ষ বিয়েতে সম্মত হয়ে বিয়ে দিয়েছে। ধর্ষকই তো এখন স্বামী! স্বামীর বিরুদ্ধে কেন মামলা লড়বে নববধূ? বুদ্ধির তারিফ করতে হয় বটে! কিন্তু এরপর থেকে ভয়-ভীতি-চাপের মুখে বা বিরাট অংকের অর্থের বিনিময়ে সবল ধর্ষকপক্ষ যদি দুর্বল পক্ষকে আপোসে বিয়েতে রাজি করায় তো সমস্যা কী! তাহলে বলুন, সাজা বাড়ানোর ফায়দা কী? সবলপক্ষ তো চিকন বুদ্ধি খাটিয়ে বুড়ো আঙুলই দেখালো।
ধর্ষকের সাথে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে দেয়ার চল এখানে নতুন নয়। ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেবার মাধ্যমে ভয়াবহ পুরুষতান্ত্রিকতাকেই আরো বেশি জোরদার করা হয়। এদেশের জনমানসে আজও নারীর ‘সতী’ চরিত্র অঙ্কিত। ধর্ষণের শিকার নারীকে মনে করা হয়, ‘সতীত্ব’ হারিয়ে ‘কলঙ্কিত’ হয়েছে এবং তার ‘সর্বস্ব গেলো’।
‘সতীত্ব’ ‘হারানো’ নারীকে পরিবার গ্রহণে অনিচ্ছুক। স্বামী চায় না ‘অসতী’ স্ত্রীকে, পরিবার চায় না ‘কলঙ্কিত’ কন্যা-ভগিনীকে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এমন ঘটনা ভুরি ভুরি ঘটেছে। ধর্ষণের শিকার কন্যাকে গ্রহণ করেনি পরিবার। ‘সতীত্বহারা’ নারীর সমাজে ঠাঁই নেই। এই নারীকে কোনো পুরুষ বিয়ে করতে রাজি নয়। তাই, মৃত্যুই এই নারীর ‘মুক্তি’র উপায়। একারণেই বাংলা সিনেমায় দেখবেন, ধর্ষণের শিকার নারীটি সিংহভাগক্ষেত্রে আত্মহত্যা করে অথবা অন্য কোনো উপায়ে তার মৃত্যু দেখায় পরিচালক।
এরকম একটি সমাজ বাস্তবতায় ধর্ষণের শিকার নারীকে যদি ধর্ষক ‘দয়াপরবশ’ হয়ে বিয়ে করতে ‘রাজি হয়’ তবে সেটিই ওই নারী এবং তার পরিবারের জন্য ‘বিরাট প্রাপ্তি’! এই মনভঙ্গির সমাজে যেখানে নারীর পরিবারই আপোষকামী সেখানে আইনে ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানোটা আদৌ কি কার্যকর প্রভাব ফেলবে?
শুধু আইন দিয়ে কি সমাজ বদল সম্ভব
শুধু আইন দিয়ে সমাজ বদল হয় না। অপরাধকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে আইনে বড় বড় কথা লিখলে তা কাজীর গরুর মতন কিতাবী বস্তু বৈ আর কিছু হবে না। আমাদের এখন সমাজের ভেতর থেকে বদল আনতে হবে।
প্রথমত, ধর্ষণ একটি অপরাধ। ধর্ষণের শিকার নারীকে বিয়ে করা হলেও সেই অপরাধ খারিজ হয়ে যায় না। কেননা, বিবাহিত অবস্থায় স্বামীর হাতেও স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হতে পারে। কারণ, সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সম্পর্কই ধর্ষণ। কিন্তু ‘মেরিটাল রেপ’ তো আমাদের দেশের আইনে আজও স্বীকৃতই নয়। এই অবস্থায়, ধর্ষকের সাথে নির্যাতিত নারীটিকে বিয়ে দেয়া মানে তার উপরে আরো নিপীড়ন চাপানো।
দ্বিতীয়ত, আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজে প্রথাগতভাবে কন্যা ও ভগিনীদের নিজের সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা নেই। শিক্ষিত ও শহুরে সমাজে তা এখন অনেকটাই বদলেছে বটে। কিন্তু শিক্ষিত-নগরজীবনের সাথে পুরো বাংলাদেশকে মেলালে হবে না। এদেশে এখনও অধিকাংশ মেয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পিতা-ভ্রাতা ও অন্যান্য অভিভাবকবৃন্দ। এই বাস্তবতায়, ধর্ষণের শিকার হয়ে নিপীড়িত-ভয়ার্ত নারীটি ধর্ষককে আদৌ বিয়ে করতে চায় কি-না— এই মতামত ক’জন জিজ্ঞেস করবে? আর ভয়-ভীতি-প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে আদায় করা ছদ্ম-সম্মতির খবরই-বা রাখবে কে!
এই বিষয়গুলোকে কি আদৌ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হয়েছে? হয়নি। হয়নি বলেই জনতুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আইন পরিবর্তন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যোগ করা হয়। তাই, এই আইন ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’র নামান্তর হবার আশঙ্কা বিদ্যমান।
আইন তো আগেও ছিল। আগের আইনও ভীষণ কঠোরই ছিল। কিন্তু আইন থেকে লাভ কী যদি প্রয়োগ না হয়? বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতেই যেখানে বছর গড়িয়ে দশকে পড়ে সেখানে সাজা বাড়িয়ে কোন কল্যাণটা হবে?
বিচার চাইতে গিয়ে নির্যাতিত নারী এবং তার পরিবার যে ধরণের বিড়ম্বনার মুখে পড়ে সেগুলো দূর করতে হবে। সমাজের পরতে-পরতে পুরুষকে সুবিধা দেয়ার যে ব্যবস্থা আছে তা বদলাতে হবে। ধর্ষকের সাথে মেয়েটির পরিবার যেন হুট করে বিয়ের ব্যবস্থা করতে না পারে সেই মর্মে প্রয়োজনে আইন করতে হবে। বিদ্যমান আইনগুলোর যেখানে যত ফাঁক-ফোকর আছে সেগুলো দূর করতে হবে। ব্রিটিশ আমলের পুরুষতান্ত্রিক স্বাক্ষ্য আইনের পরিবর্তন করতে হবে। নির্যাতনের শিকার নারী এবং তার পরিবার যেনো নির্ভয়ে আইনের কাছে আশ্রয় নিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ’ বিষয়টি নিয়ে যে ধোঁয়াশা আছে সেটিও সুরাহা করতে হবে।
বিয়ের ‘প্রলোভন’ বনাম ‘অঙ্গীকার’ ও প্রতারণা
প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার পর যুগলেরা পরস্পরকে ভালোবেসে নিজেদের সম্মতিতে বিয়ের আগেই, অনেকক্ষেত্রে, শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এখানে মনে রাখতে হবে, মেয়েটির এই শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর পেছনে থাকে পুরুষের ‘অঙ্গিকার’ ও ‘আস্থা’। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটে যে, শারীরিক সম্পর্কে থাকার পর একটি পর্যায়ে পুরুষটি ‘কেটে পড়তে’ চায়। এগুলো আকছার ঘটে। এই যে পুরুষটি ‘কেটে পড়তে’ চায় বা সম্পর্কের দায় অস্বীকার করতে চায় তখন নারীটি প্রতারিত বোধ করে। কিন্তু প্রেমে প্রতারিত নারীর জন্য এদেশে বিশেষ আইনি প্রতিকার নেই।
এরকম পরিস্থিতিতে, প্রতারিত নারীটি আইনের আশ্রয় নিতে গেলে বিদ্যমান ব্যবস্থায় সবচেয়ে কাছাকাছি যে আইনে প্রতিকারটি পাওয়া যায় তার মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের মামলাটি একবারে ব্রহ্মাস্ত্র।
আমি মনে করি, এক্ষেত্রে ‘প্রলোভন’ শব্দটি ব্যবহার অত্যন্ত ভুল প্রয়োগ। এটি হওয়া উচিত ‘অঙ্গীকার’ বা ‘প্রতিশ্রুতি’। ‘ব্রিচ অফ কমিটমেন্ট’ বা ওয়াদা ভঙ্গের ঘটনা প্রেমের ক্ষেত্রে সাধারণত মৌখিকভাবেই হয়। কারণ প্রেম করার সময় ব্যবসায়িক চুক্তির মতন দলিল-দস্তাবেজ করে প্রেম হয় না। প্রেমের সম্পর্কে আস্থা ও নির্ভরতা তৈরি হলে যুগলেরা এমনি একসাথে থাকেন, এর জন্য বিয়ের মতন কাবিননামাও হয় না।
কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, এই থাকা-থাকির সম্পর্কের মূল ভিত্তি বিশ্বাস, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রতির মতন অদৃশ্য ও বায়বীয় বিষয়। তাই, বিশ্বাসভঙ্গের পর প্রতারিত প্রেমিকা প্রতারণার মামলা নিয়ে আইনের ঘরে থৈ পায় না। হত্যা মামলায় প্রমাণের অভাবে আসামী খালাস পেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, হত্যাটি সংঘটিত হয়নি। একই রকম ঘটতে পারে প্রেমে প্রতারণার ক্ষেত্রেও। যেহেতু সোজা রাস্তায় প্রতারিত প্রেমিকার জন্য আইনে কোনো বিধি-ব্যবস্থা রাখা নাই তাই, বাংলাদেশে প্রেমিকদের বিরুদ্ধেও নারীদের অনেকক্ষেত্রে ধর্ষণের মামলার আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
কিন্তু ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ’ মামলা যারা করেন সেই নারীদেরকে নিয়ে প্রচুর ‘জাজমেন্টাল’ মন্তব্য দেখা যায়। সেসব মন্তব্য এমনকি ট্রলের পর্যায়েও পর্যবসিত হয়। বিষয়টি দু:খজনক।
পত্রপত্রিকার খবর মারফত আমরা সবাই জানি যে, ধর্ষণের মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে, আইনের ফেরে নিরপরাধীর জীবনে গজব নামে। আবার এটিও সত্য যে, আইনের ফেরেই প্রকৃত ভুক্তভোগীও বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। হায়! আইনের ফের মানুষ জীবন দিয়ে শোধ করে!
এই রকম বিপ্রতীপ বাস্তবতা এদেশে বিদ্যমান। এটিকে অস্বীকারের উপায় নেই। তাই, জনতুষ্টিমূলক আইন দিয়ে এই সংকট মোচন হবে না। দরকার সমস্যা সমাধানের আন্তরিক পদক্ষেপ। দরকার পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে আরো সৎ ও আন্তরিক করে তোলা। দরকার রাষ্ট্রীয়-প্রশাসনিক-নাগরিক সম্মিলিত প্রয়াস। সেই প্রয়াস নিতে আমরা যদি উদ্যোগী না হই তাহলে আমাদের জন্য প্রযোজ্য পদকর্তা লালনের বাণী, ‘সত্য কাজে কেউ নয় রাজী, সবই দেখি তা-না-না-না’।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)