আগের ম্যাচেই ছিলেন ত্রাতা। বদলি নেমে করা রোনালদোর গোলেই পয়েন্ট বাঁচিয়ে মাঠ ছেড়েছিল জুভেন্টাস। বছরের শেষ ম্যাচে তো নায়কই হলেন। সিআর সেভেনের জোড়া গোলেই সাম্পদোরিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে জয়ে বছর শেষ করল তুরিনের বুড়িরা।
এই জয়ে সিরি আ টেবিলের শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল জুভেন্টাস। ১৯ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট হল তাদের। এক ম্যাচ কম খেলে দুইয়ে থাকা নাপোলির সঙ্গে ১২ পয়েন্টের ব্যবধান এখন তাদের।
শনিবার ঘরের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। পরে ৩৩ মিনিটে পেনাল্টিতে সমতা ফেরায় সাম্পদোরিয়া, গোল আনেন ফ্যাবিও কুওগ্লারেল্লা। তাতে সমতা নিয়েই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে পেনাল্টিতেই দ্বিতীয়বার লিড নেয় স্বাগতিকরা। জুভেন্টাসকে এবার স্পটকিকে এগিয়ে নেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরে ওই ব্যবধান ধরে রেখেই তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিরি আ জায়ান্টরা।
সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ২০১৮ সালের শেষ ম্যাচটা খেললেন রোনালদো। এই ম্যাচে নামার আগে তার তিনটি চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমটি, দলকে বছরবিদায়ী জয় উপহার দেয়া। দ্বিতীয়টি, এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে আরও একবার ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ। সেটা আবার ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো। তৃতীয় চ্যালেঞ্জটি ছিল সবচেয়ে কঠিন, লিওনেল মেসিকে স্পর্শ করা বা তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া।
বছরে গোলের ফিফটি করতে হ্যাটট্রিক, এলএম টেনকে স্পর্শ করতে এই ম্যাচে এক হালি গোল। আর বার্সেলোনা অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যেতে রোনালদোর লাগত পাঁচ গোল।
রোনালদো কেবল প্রথম চ্যালেঞ্জটিই উতরে যেতে পেরেছেন। দারুণ জয়ে বছর শেষের পাশাপাশি সমর্থকদের বড়দিনের উপহার দিতে পেরেছেন। তবে গোলের ফিফটি হল না। থাকলেন ৪৯ গোল নিয়ে। আর মেসিকে স্পর্শ করা বা টপকে যাওয়া তো হলোই না তাতে।
রিয়াল ছাড়ার পর ইতালিতে এক ম্যাচে রোনালদোর সর্বোচ্চ অর্জন চ্যালেঞ্জের দ্বিতীয়-তৃতীয় ধাপকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে রেখেছিল! কারণ জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পর অ্যাসিস্টের হ্যাট্রটিক করলেও এক ম্যাচে দুই গোলের বেশি করতে পারেননি রোনালদো। শনিবারও করলেন দুই গোলই।
সেখানে রোনালদোর আগেই ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো বছরে গোলের ফিফটি করে ফেলেছেন মেসি। ২০১০-১৮’ সালের মধ্যে শুধু একবার এটি করতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা। ২০১৩ সালে ৪৭ ম্যাচে ৪৫ গোল করেছিলেন।
সেখানে ২০১১ সাল থেকে প্রতিটি মৌসুমেই ক্যালেন্ডার ইয়ারে ৫০ বা তার বেশি গোল করে চলেছিলেন রোনালদো। মেসির হাফসেঞ্চুরি না পাওয়া ২০১৩ সালেই সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন। পর্তুগিজ তারকা ওই বছর ক্যারিয়ার সেরা ৬৯ গোল করেছিলেন। রোনালদোর ফিফটির যাত্রা থামল এই বছরে এসে।
২০১৮ সালে রোনালদোর নামের পাশে থাকল ৫৩ ম্যাচে ৪৯ গোল। জুভেন্টাসে যাওয়ার আগে রিয়ালের হয়ে ২৮, পর্তুগালের হয়ে ৬ (এর মধ্যে বিশ্বকাপে চারটি), এবং জুভ জার্সিতে ১৫ গোল নিয়ে বছর শেষ করলেন। এবছর ৫৪ ম্যাচে মেসির গোলসংখ্যা ৫১।