দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৬৪তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭২ জন।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৫১২ জন। শনাক্তের হার দুই দশমিক ৭৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় বিভাগে করোনায় কেউ মারা যায়নি, পাশাপাশি দেশের ৩২ জেলায় নতুন করে আক্রান্ত নেই।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২২ হাজার ৬৬৭টি পরীক্ষায় ৫১২ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দুই দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮০ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৩০টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৮টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ২৯০ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে দু’জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ একজন ও নারী একজন। তাদের হাসপাতালে (সরকারি দু’জন) মৃত্যু হয়েছে। তিনিসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ৭২ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৮৬৪ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৯৭ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৭। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯৫৭ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ১০ হাজার ১১৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক তিন শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত দু’জনের মধ্যে বিশ থেকে ত্রিশোর্ধ্ব একজন ও ষাটোর্ধ্ব দু’জন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে একজন ও খুলনা বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৮ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৫ কোটি ৩৩ লাখের বেশি।