ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পেয়েছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের স্বর্গরাজ্য বঙ্গোপসাগর; যা বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর সমাহারে সবসময় প্রাণচঞ্চল। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সমারোহে বঙ্গোপসাগর মৎস্য সম্পদের এক বিশাল ভাণ্ডার।
এই বিশাল অর্থনৈতিক এলাকায় প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য লইট্টা, ছুড়ি, রিটা, সুরমা, কোরাল, চাপিলা ইত্যাদি।সামুদ্রিক মৎসসম্পদের একটি বড় অংশ দখল করে আছে চিংড়ি।
নানা প্রজাতির এসব মাছ আকৃতি ও রঙে বিভিন্ন রকম। অধিকাংশ মাছ প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
বাণিজ্যিকভাবে আহরিত এ মাছ দেশে আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তবে যুগোপযোগী ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেশের সামুদ্রিক মৎস সম্পদ সঠিকভাবে আহরিত হচ্ছে না। এর সাথে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিভিন্নধরণের দূষণ।
সাগরের স্বাভাবিক ভারসাম্য ধরে রাখতে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকরী উদ্যোগ।
জনসচেতনতা এবং সুচিন্তিত এবং টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করে একদিকে যেমন বাঁচানো সম্ভব বিশাল সমুদ্র প্রতিবেশ, তেমনি টিকিয়ে রাখা সম্ভব অমিত সম্ভাবনাময় সামুদ্রিক মৎস সম্পদকে।