চঞ্চল চৌধুরী। ছোট পর্দা ও বড় পর্দার জনপ্রিয় তারকা। তার প্রথম ছবি ‘মনপুরা’ আর দ্বিতীয় ছবি ‘আয়নাবাজি’। দুটি ছবিই দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়। গত রোববার সন্ধ্যা ছিল তার জন্য খুবই বিশেষ। এই সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি দেখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির পুরো পরিবার, বঙ্গভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আর ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এরপর চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে রোববার সন্ধ্যার অভিজ্ঞতার কথা বললেন তিনি।
এবারই প্রথম বঙ্গভবনে গিয়েছেন?
না, আমি গত কয়েক বছর ধরেই বঙ্গভবনে যাই। বিভিন্ন জাতীয় দিবস, ঈদ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আমন্ত্রণ জানান। এসব অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় বঙ্গভবনের ভেতরের মাঠে। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হয়েছে। তবে তা কয়েক মুহুর্তের জন্য। তখন ভেতরে যাওয়া যায়নি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আপনার একটা সেলফি দেখেছি।
এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে ‘আয়নাবাজি’ ছবির প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনী শেষে তিনি কাছে এসে আমার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ছবির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। আমার অন্যান্য কাজ, আমার পরিবারের খবর জানতে চান। তখন আমি তার কাছে আবদার করি, আপনার সঙ্গে একটা সেলফি তুলতে পারি? তিনি বললেন, ‘তোলো তোলো।’
আপনারা বঙ্গভবনে কতক্ষণ ছিলেন?
তা অনেকক্ষণ। শুধু রাষ্ট্রপতির সঙ্গেই ছিলাম প্রায় চার ঘণ্টা।
রাষ্ট্রপতিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাকে কেমন লেগেছে?
দেখুন, আমরা কথায় কথায় বিভিন্ন দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের উদাহরণ দেই। কিন্তু আমাদের দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতিও একজন দারুণ মানুষ। তার কাছে যে গেছেন, তিনি জানেন। গ্রামে কিংবা মফস্বলে অতিথিরা গেলে বাড়ির মুরুব্বিরা যেমন আপ্যায়ন করেন, সমাদর করেন, খোঁজ–খবর নেন; তিনি কিন্তু সেদিন আমাদের সঙ্গে তেমনটাই করেছেন। অদ্ভূত মাটির মানুষ!
রাতের খাবার আপনারা একসঙ্গে খেয়েছেন?
হ্যাঁ, তিনি আমাদের পাশের টেবিলে বসেন। সেখান থেকে উঠে এসে আমাদের খোঁজ নিচ্ছিলেন। তার একটা কথা খুব ভালো লেগেছে। তিনি বললেন, ‘খাও খাও, পেট ভরে খাও। এইটা খাও, ওইটা নাও।’ আমরা যতক্ষণ খেয়েছি, তিনি অনেকটা সময় আমাদের পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন।
আপনারা বঙ্গভবনে যাওয়ার কতক্ষণ পর তিনি এলেন?
আমরা গিয়ে অপেক্ষা করছি। ছবি প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত। হঠাৎ তিনি এলেন। বললেন, ‘তোমরা আসছ? সবাই আসতেছে। তোমরা একটু ওয়েট করো।’ এরপর চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর সবাই এলেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলার পালা।
আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সেলফি তুলেছি। তা বছর দুয়েক আগে। গণভবনে তিনি পিঠা উৎসব আয়োজন করেছিলেন। আমাদের শিল্পীদের মধ্য থেকে অনেককে দাওয়াত দিয়েছিলেন। তখন ওনাকে বলতেই রাজি হয়ে গেলেন। সেলফি তোলার ফাঁকে প্রধারনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো। তিনি কিন্তু অনেক খবর রাখেন। আমার অভিনয়ের দারুণ ভক্ত! রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রী দুজনই আমার অভিনয়ের ভক্ত, এটা আমার জন্য বিশাল ব্যাপার।