প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মেয়াদ শেষ হবার আগেই বাংলাদেশ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সক্ষম হবে এবং এ ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এ বছর ১১ মে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারি দলীয় এমপি ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট কার্যকর থাকার মেয়াদ ১৫ বছর তাই এই প্রক্রিয়াকে কার্যকর রাখতে আমরা সেই মেয়াদ শেষ হবার আগেই বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে চাই। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ অনেক সময় সাপেক্ষ তাই বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শুরু করতে আমরা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মহাকাশ গবেষণা অব্যাহত রাখবে এবং ভবিষ্যতে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার প্রচেষ্টাও অব্যাহত রাখবে।
মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের ক্ষেত্রে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কৃষির ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের কক্ষপথে অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রী পূর্বে এবং এই অবস্থান থেকে সমগ্র দেশের ফুটেজ প্রাপ্তিতে কোন সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন সংশয়ের অবকাশ নেই। পুরো দেশই এটির কভারেজের আওতায় আসবে। এমনকি যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সে সব এলাকাও এর আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, রাশিয়া স্পুটনিক নামের কোম্পানির কাছ থেকে এই বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের জন্য মহাকাশের কক্ষপথটি ভাড়া করা হয়েছে। সকল সার্কভুক্ত দেশ এবং ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাকস্তান ও এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে সক্ষম হবে যেহেতু স্যাটেলাইটের অবস্থান এই দেশগুলোর অবস্থানকেও কভার করবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ইতোমধ্যে কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে এবং এটি কিছু কিছু সিগন্যাল প্রেরণও শুরু করেছে। তবে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ফুটেজ প্রাপ্তির জন্য আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে বলেও সংসদে জানান প্রধানমন্ত্রী।