জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু: স্মৃতিতে অবিনশ্বর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (উপ-উপাচার্য) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত এ উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক অবিচ্ছেদ্য নাম। বাঙালি জাতির মনোজগতে বঙ্গবন্ধু চির জাগরুক হয়ে আছেন। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।
অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রেজাউল ইসলাম, ছাত্রলীগ জাবি শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল প্রমুখ।
আলোচনা সভা ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০টায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলমের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, অফিসার ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রা শেষে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট, আবাসিক হল, শিক্ষকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ৯ টায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তান এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।