বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের দ্বিতীয় রক্ষা গাইড বাঁধের পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ফের ভাঙন শুরু হয়েছে।
ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ১৫০ মিটার বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা পাকা দালানসহ বেশ কয়েকটি বসতভিটা। ভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু সেতুসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের সহকারি প্রকৌশলী এহসানুল কবির পাভেল জানান, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার্থে ২০০৪ সালে সেতুর পূর্ব পাড়ের দক্ষিণ পাশে কার্পেটিং ও সিসি ব্লকের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয় দ্বিতীয় রক্ষা গাইড বাঁধ। তবে দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ২০১৭ সালে আঘাত হানে যমুনা।
সেই সময় বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরের কয়েক শতাধিক বসতভিটা গ্রাস করে নেয় আগ্রাসী যমুনা। পরে পুনঃবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ মিটার এই গাইড বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করে ‘রানা বিল্ডার্স এন্ড সহিদ ব্রাদার্স’ নামের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে পুনঃনির্মাণ বাঁধটির মধ্যবর্তী অংশে ভাঙন দেখা দেয়। অল্প সময়েই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ১৫০ মিটার বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা পাকা দালানসহ তিনটি বসতভিটা।
বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে কার্যক্রম পরিচালানা করা হবে বলেও জানান প্রকৌশলী এহসানুল কবির পাভেল।
এর আগেও চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুতে ভাঙনের কবলে পড়ে বাঁধটির শেষ প্রান্তের ৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।